কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতা চান মোদী, ট্রাম্পের এই দাবিকে 'মিথ্যা' প্রমাণ করল ভারত

  • তিনদিনের জন্য মার্কিন সফরে গিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান
  •  ট্রাম্প জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতা করতে বলেন
  • ট্রাম্পের এই দাবিকে 'মিথ্যা' প্রমাণ করল ভারত 
  • জানা গিয়েছে মোদীর তরফে এমন কোনও মন্তব্য করা হয়নি

Indrani Mukherjee | Published : Jul 23, 2019 4:29 AM IST / Updated: Jul 23 2019, 02:54 PM IST

তিনদিনের জন্য মার্কিন সফরে গিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেখানে এদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন ইমরান খান। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর এদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে নাকি কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত ভারতের তরফ থেকে বারবার বার্তা দেওয়া হয়েছিল কাশ্মীর ইস্যুতে কখনওই কোনও তৃতীয়পক্ষের হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না। এমনকী এই বিষয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের হস্তক্ষেপও বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়েছে ভারত। কারণ, কাশ্মীর সমস্যা ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্য়েকার একটি দ্বিপাক্ষিক সমস্যা। ১৯৭২-এর সিমলা চুক্তিতে এমনটাই মেনে নিয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি সপ্তাহ দু'য়েক আগে যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে যখন তাঁর দেখা হয়েছিল তখন, কাশ্মীর ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে মধ্যস্থ হওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। আর ট্রাম্পের এই মন্তব্যকে কার্যত 'মিথ্য়া' প্রমাণ করল ভারত। 

এদিন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টকে কাশ্মীর ইস্যুতে কোনও অনুরোধই করেননি মোদী। তিনি  আরও জানান, 'আমরা দেখেছি যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভারত ও পাকিস্তানের অনুরোধে কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতা করার জন্য তিনি প্রস্তুত। তবে এই নিয়ে নরেন্দ্র মোদী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে এমন কোনও অনুরোধই করেননি। কাশ্মীর নিয়ে যদি কোনও আলেচনা হয়, তাহলে তা দ্বিপাক্ষিক আলোচনাই হবে।' 

প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের মধ্যস্থতার কথায় বেশ খুশিই হন ইমরান খান। তিনি মন্তব্য করেন, একরমটা হলে একশো কোটি মানুষের শুভেচ্ছা তাঁর সঙ্গে থাকবে। প্রসঙ্গত পাকিস্তানের চোখে কাশ্মীর ইস্যু বরাবরই একটি আন্তর্জজাতিক সমস্যা হিসাবেই তুলে ধরা হয়েছে।  তাই ট্রাম্পের এই মন্তব্যে ইমরান খানের যে ভালই লাগবে সেকথা বলাই বাহুল্য। তবে ট্রাম্পের এই মন্তব্যের কারণে কেন্দ্রের তরফে যথেষ্ট হইচই শুরু হয়েছিল। আর তারপরই ট্রাম্পের মন্তব্যকে নস্যাৎ করল ভারত।

Share this article
click me!