মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা পেয়ে আসায় তাইওয়ানকে ঠিক বাগে আনতে পারছে না বেজিং। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতেই ভার্চুয়াল বৈঠকে বসতে চলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিন।
তাইওয়ানের (Taiwan) ওপর দীর্ঘদিনের নজর চিনের (China)। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (United States) সহযোগিতা পেয়ে আসায় তাইওয়ানকে ঠিক বাগে আনতে পারছে না বেজিং। ফলে তাইওয়ান নিয়ে দুই দেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতা তুঙ্গে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতেই ভার্চুয়াল বৈঠকে বসতে চলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (US President Joe Biden) ও চিন (Chinese President Xi Jinping)। সোমবার এই হাইভোল্টেজ ও হাই লেভেল বৈঠকটি হতে চলেছে, যার ওপর নজর রয়েছে গোটা বিশ্বের।
এই বৈঠকে তাইওয়ান ইস্যু যেমন জায়গা পাচ্ছে, তেমনই উঠে আসবে জলবায়ু পরিবর্তন থেকে মানবাধিকার রক্ষার প্রসঙ্গও। দ্য হিল জানিয়েছে, বৈঠকে তাইওয়ানের কাছে চিনের সামরিক তৎপরতা, মানবাধিকার রক্ষা পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে সহযোগিতার বিষয়ে নানা দ্বিমত তৈরি হওয়া নিয়ে কথা হবে বৈঠকে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এদিন ভার্চুয়াল বৈঠকে বসবেন বলে হোয়াইট হাউস সূত্রের খবর। উল্লেখ্য, অক্টোবরে, বাইডেন এবং শি এই বছরের শেষের আগে বৈঠকে বসার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। দুই নেতা এর আগে ফোনে দুবার কথা বলেছেন, সবচেয়ে সাম্প্রতিক কথোপকথনটি হয়েছিল সেপ্টেম্বরে। শুক্রবার, হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি এক বিবৃতিতে বলেছেন, দুই নেতা দায়িত্বশীলভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের মধ্যে প্রতিযোগিতা চালিয়ে যাওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করবেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে সম্প্রতি দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। গ্লাসগো জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে উন্নত দেশগুলির ওপর অভিযোগের আঙুল তুলেছে ভারত চিন সহ ২২টি দেশ। ভারত সহ এই ২২টি দেশের অভিযোগ বিশ্বের উন্নত দেশগুলি জলবায়ু পরিবর্তনের বড় দায় উন্নয়নশীল দেশগুলির ওপর চাপাতে চাইছে। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি কার্বন নির্গমনকারী দেশ চিন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনার জন্য ২০৬০ সালকে লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে। সম্মেলনে যোগ দিলেও এ বিষয়ে চিন নতুন আর কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি বলে জানা গিয়েছে। এখানেই ঠোকাঠুকি বেঁধেছে আমেরিকা সহ অন্য দেশগুলির সঙ্গে।
Rahul Gandhi-হিন্দুত্ব মানেই শিখ-মুসলিমকে পেটানো, বিজেপিকে কটাক্ষ রাহুল গান্ধীর
Climate Summit-জলবায়ু চুক্তির বিরোধিতায় ২১টি দেশ, কোন প্রশ্নে এককাট্টা ভারত-চিন
চুক্তির খসড়াকে অনেক বিরোধী দেশ "নতুন কার্বন ঔপনিবেশিকতা" বলে অভিহিত করেছে। তাদের দাবি ২০৫০ সালের নেট জিরো টার্গেট উন্নয়নশীল দেশগুলির উপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই চুক্তিতে দূষণ নির্গমন হ্রাসের বিষয়ে যে সব কারণ ও লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে, তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল বিশ্বকে গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করা। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন এই লক্ষ্য সফল হলে জলবায়ুর সবচেয়ে খারাপ প্রভাবগুলি এড়ানো যেতে পারে। তবে এই সম্মেলনে দেশগুলির বিরোধের মূল বিষয় হল, ২০২২ সালের শেষ নাগাদ COP27-এর জন্য তাদের নির্গমন লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় কয়লা উৎপাদনকারী দেশ চিনে জ্বালানির প্রধান উৎসও এই কয়লা। বিশ্বে ব্যবহৃত মোট কয়লার অর্ধেকেরও বেশি চিনেই ব্যবহৃত হয়। তাই জীবাশ্ম জ্বালানি ও কয়লার ব্যবহারে রাশ টানার উন্নত দেশগুলির প্রস্তাবে মোটেও সমর্থন জানায়নি চিন।