বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডার ব্যবহারের কারণে ক্যানাসের আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার অভিযোগ আগেই উঠেছিল। এমনকি তাদের বেবি পাউডারের উপাদানে ক্ষতিকারক অ্যাসবেস্টেসরের উপস্থিতিও পাওয়া গিয়েছিল। যার জন্য জেরার মুখে পড়তে হয় জনসন অ্যান্ড জনসনের চিফ এক্সিকিউটিভ অ্যালেক্স গোরক্সিকে। কেবল আমেরিকাকেই জনসন অ্যান্ড জনসন সংস্থার বিরুদ্ধে ১৬ হাজারেরও বেশি মামলা করেছেন উপভোক্তারা। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় জনসন বেবি ট্যালকম পাউডারের বিক্রি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল সংস্থাটি। তবে এর পিছনে নাকি রয়েছে মহামারী করোনা, এমনটাই দাবি করেছে শিশুপণ্য উৎপাদনে বিশ্ববিখ্যাত এই ব্যান্ডটি।
জনসন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভাইরাস সংক্রমণের প্রভাবে আমেরিকা ও কানাডায় সংস্থার প্রোডাক্টের চাহিদা অনেকাংশেই কমে গিয়েছে। গত তিন মাসে সংস্থার লাভের অঙ্কও বিশেষ বাড়েনি। তাই আপাতত বিক্রি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা ছাড়া বাকি দেশগুলোয় বিপণন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক গতিতে চলবে।
এবার ইরানের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলা শুরু করল ভারত, দেশে একদিনে ফের রেকর্ড বৃদ্ধি আক্রান্তের
ঝুঁকি নিয়েই লকডাউন শিথিল করল মৃত্যুপুরী ইতালি, ৬৭ দিন বন্ধ থাকার পর খুলল হোটেল-রেস্তোরাঁ
ভ্যাকসিনের প্রথম ধাপে সফল মার্কিন ওষুধ সংস্থা 'মডার্না', আমেরিকায় কমতে শুরু করেছে মৃত্যু হার
কভিড-১৯ সংক্রান্ত ভোক্তাপণ্য পোর্টফোলিও পূর্নমূল্যায়নের পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন সংস্থাটি। জানানো হয়েছে, সামনের মাসগুলোতে বেবি পাউডারের বিক্রি ক্রমান্বয়ে বন্ধ করে দেয়া হবে। কিন্তু খুচরা বিক্রেতাদের কাছে এখন যা আছে তারা তা বিক্রি করতে পারবেন।
একটি বিবৃতিতে জনসন অ্যান্ড জনসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রধানত ভোক্তা অভ্যাসে পরিবর্তন এবং তার সঙ্গে পণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে অপপ্রচার ও মামলার কারণে উত্তর আমেরিকায় জনসন’স ট্যালকম বেবি পাউডারের চাহিদা কমে যাচ্ছে।
কয়েক দশক ধরে পরিচিত জনসন অ্যান্ড জনসনের পণ্যের মধ্যে অ্যাসবেস্টস রয়েছে বলে ২০১৮ সালে অভিযোগ ওঠে। বিশ্বের নানা প্রান্তের ড্রাগ কন্ট্রোল ব্যুরোর গবেষকরা দাবি করেছেন, জনসন বেবি শ্যাম্পু, বেবি পাউডার ও ট্যালকম পাউডারে রয়েছে বিষাক্ত রাসায়নিকের উপস্থিতি যা থেকে হতে পারে ক্যানসার।
জনসন বেবি পাউডারসহ সংস্থার ট্যালকম পণ্যগুলি ক্যানসারর সৃষ্টির জন্য দায়ি অভিযোগে জনসন অ্যান্ড জনসনের বিরুদ্ধে গোটা বিশ্বে ভোক্তাদের ১৯ হাজারের বেশি মামলা রয়েছে, যেগুলোর বেশিরভাগ নিউ জার্সিতে বিচারাধীন।
সংস্থার নথি, আদালতের সাক্ষ্য ও অন্যান্য দলিল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, অন্তত ১৯৭১ সাল থেকে ২০০০ সালের মধ্যে জনসনের ট্যালকমের কাঁচামাল ও প্রস্তত পাউডারে কিছু পরিমাণে অ্যাসবেস্টস পাওয়া গেছে। যদিও বিশ্বখ্যাত এই সংস্থাটি বরাবরই দাবি করে আসছে, তাদের ট্যালকম পণ্যগুলি নিরাপদ। কয়েক দশকের গবেষণায় প্রমাণিত , তাদের পণ্য অ্যাসবেস্টসমুক্ত এবং সেগুলো ক্যানসার সৃষ্টি করে না।