দু'দিনের জন্য ভুটান সফরে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী। আগামী মাসেই ভুটান যাত্রার পরিকল্পনা করেছেন মোদী। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে এবং প্রতিবেশিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার নীতিকে সামনে রেখেই মোদীর এই বিদেশ যাত্রা বলে মনে করছেন অনেকে। প্রসঙ্গত, খুব প্রথম থেকেই দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক খুবই ভাল। আর এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি ছিল দু'দেশের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া, বিশ্বাস এবং একে অপরের মঙ্গল কামনা।
এবারের ভুটান সফরে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী লোটায়ে শেরিং-এর সঙ্গে বৈঠকের পরিককল্পনাও রয়েছে তাঁর। ভুটানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বরাবরই খুব ভাল, আর সেই সম্পর্ককে আরও পোক্ত করার জন্য নরেন্দ্র মোদীর এই বিদেশ সফর বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত এর আগেরবারের লোকসভা নির্বাচনে জয় লাভ করার পর ভুটান সফরে গিয়েছিলেন মোদী। আর এবারের লোকসভা নির্বাচনেও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করার পর আবারও হিমালয়ের কোলে এই প্রতিবেশী দেশ সফরে যাচ্ছেন মোদী।
প্রসঙ্গত দক্ষিণ এশিয়ায় চিনের ক্রমবর্ধমান আধিপত্য, সীমান্তে পাক সন্ত্রাস এবং ২০১৭-এ ভারত ও চীনের সীমান্ত বিরোধিতা নিয়ে ডোকলাম সমস্যাকে মাথায় নিয়ে বিদেশনীতি আরও জোরদার করার লক্ষ্যে ভারত। কারণ ভুটানের অর্থনীতি অনেকটাই ভারতের ওপর নির্ভরশীল হলেও চিন সেই নির্ভরতার জায়গা নিতে তৎপর হয়ে উঠেছে।
প্রসঙ্গত গত মাসে পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দু'দিনের জন্য আনুষ্ঠানিক সফরে ভুটানে গিয়েছিলেন। মন্ত্রণালয়ের দায়ভার গ্রহণ করার পর এটাই ছিল তাঁর প্রথম বিদেশ সফর। তাঁর সফরকালে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটায়ে শেরিং-এর সঙ্গে একটি বৈঠকে অংশ নেন তিনি। সেবার তাঁদের আলোচনায় তাঁরা দ্বিপাক্ষিক সহযোগীতার কথাই উঠে এসেছিল।