৫০ বছর আগে ১৯৬৯ সালে চাঁদে প্রথম পা রাখেন দুই নভোশ্চর। সেই দু'জন আর কেও নন নিল আর্মস্ট্রং ও এডউইন অলড্রিন। এবার চাঁদের মাটিতে পা রাখবেন কোনও মহিলা। যা আগে কখনও ঘটেনি। ইতিমধ্যেই ২২শে জুলাই চাঁদের দক্ষিণ মেরুর উদ্দেশে রওনা দিয়েছে ইসরোর চন্দ্রযান-২। এবার সেই পথেই হেঁটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে যেতে চলেছে নাসার আর্তেমিস। সঙ্গে থাকবেন প্রথম মহিলা নভোশ্চর।
গ্রিক পুরাণ অনুসারে গ্রিক দেবতা জিউসের সন্তান আর্তেমিস। এই আর্তেমিস চাঁদ ও বন্যপ্রাণীর দেবী। যেহেতু প্রথম মহিলাকে বহন করে নিয়ে যাচ্ছে এই চন্দ্রযান তাই এর নামকরণ করা হয়েছে গ্রিকের চাঁদের দেবী আর্তেমিসের নামে। বহুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল মহিলা যাত্রিকে নিয়ে চাঁদের পাড়ি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে নাসা। সেটাই এবার নিশ্চিত করল নাসা। আগামী ২০২৪ সালে চাঁদের উদ্দেশে রওনা দিতে পারে নাসার আর্তেমিস ৩।
নাসা সূত্রে খবর, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর শ্যকলেটন ক্র্যাটারে নামতে পারে আর্তিমিস ৩। যে যন্ত্রটি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামবে সেটিকে দেখতে অনেকটা ক্যাপস্যুলের মতো। যার নাম ওরিয়ন। শেষবার চন্দ্রপৃষ্ঠে হেঁটেছিলেন নাসার অ্যাপোলো ১৭—র অভিযাত্রী জিন কারনান। ৭ই ডিসেম্বর ১৯৭২ সালে অ্যাপোলো ১৭, ৩জন নভোশ্চরকে নিয়ে চাঁদের উদ্দশ্যে রওনা দেয়। তার পরে কেটে গিয়েছে দীর্ঘদিন অবশেষে নাসা আবার পরিকল্পনা করছে চাঁদে লোক পাঠানোর। তবে এবার কোন পুরুষ না এবার চাঁদে পা রাখার পরিকল্পনা করছেন একজন মহিলা নভোশ্চর। যার দিকে তাকিয়ে আছে গোটা দেশ। অপেক্ষার দিন শুধু যে নাসার বিজ্ঞানীরাই গুনছেন তা একেবারেই নয় দিন গুনছেন গোটা বিশ্ববাসী।