ভারত নিয়ে নতুন মার্কিন রাষ্ট্রপতির প্রথম বিবৃতি, পাক-চিনের উদ্বেগ বাড়ালেন বাইডেন

আমেরিকার ৪৬তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিয়েছেন জো বাইডেন

ভারতের সঙ্গে কেমন থাকবে নয়া প্রশাসনের সম্পর্ক

প্রথম বিবৃতিতেই স্পষ্ট করে দিল বাইডেন প্রশাসন

উদ্বেগ বাড়ল চিন ও পাকিস্তানের

amartya lahiri | Published : Jan 22, 2021 6:12 AM IST

একদিন আগেই আমেরিকার ৪৬তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিয়েছেন জো বাইডেন। আর তারপর ভারত নিয়ে তাঁর প্রশসনের প্রথম বিবৃতিই চিন ও পাকিস্তানের উদ্বেগ বাড়ালো। ভারতকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসাবে উল্লেখ করে নয়া মার্কিন প্রশাসন বলেছে, দুই দেশের সম্পর্ক দৃঢ় ভাবে এগিয়ে চলবে। ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে মোদী প্রশাসনের ঘনিষ্ঠতা সুবিদিত। তাই ট্রাম্পের বিদায়ে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক ধাক্কা খাবে বলে আশা করেছিল চিন ও তার মিত্র পাকিস্তান। এই বিবৃতিতে সেই আশার নটেগাছ য়ে মুড়িয়ে গেল, তা বলাই বাহুল্য।

বৃহস্পতিবার, হোয়াইট হাউসের নয়া প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেছেন, আমেরিকার ৪৬তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নেওয়া জো বাইডেন ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে শ্রদ্ধা করেন। ভারতের সঙ্গে তাঁর যোগও নতুন নয়। এর আগে সরকারি প্রতিনিধি হিসাবে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বহুবারই ভারত সফর করেছেন। ট্রাম্পের আমলে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক যে উচ্চতায় পৌঁছেছিল, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নেতৃত্বে তাকেই এগিয়ে নিয়ে যাবে নয়া মার্কিন প্রশাসন। ভারতীয়-মার্কিন মহিলা, কমলা হ্যারিস উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার ইন্দো-মার্কিন সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউস। প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেছেন, একজন ভারতীয়-মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়া সকল আমেরিকানের কাছে এক ঐতিহাসিক। তিনি আরও বলেন, দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক এখন খুবই ভাল জায়গায় রয়েছে। বইডেন-হ্যারিস জুটি সেই ঐতিহ্যটিই ধরে রাখতে চান।

আরও পড়ুন - নিরাপদেই রয়েছে Covishield, আগুনে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত সিরাম ইনস্টিটিউট

আরও পড়ুন - আজ প্রথমবার রাফালের ককপিটে CDS রাওয়াত, ফরাসীদের সঙ্গে মরুভূমির আকাশে ওয়ারগেম

আরো পড়ুন - নেতাজিকে ভারতরত্ন দেওয়ার দাবি, ১২৫তম জন্মবার্ষিকীর আগে বিতর্ক তৈরি করলেন বিজেপি সাংসদ

বস্তুত, বাইডেনের সময়ে আমেরিকার নীতি আরও ভারতমুখী হবে বলে আশা করছে নয়াদিল্লি। এর অন্যতম কারণ, বাইডেন তাঁর নীতি নির্ধারক কমিটিতে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ২০ জন মার্কিনিকে জায়গা দিয়েছেন। বাজেট তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন নীরা ট্যান্ডন, ফার্স্ট লেডির নীতি উপদেষ্টা হয়েছেন মালা আদিগা, সাব্রিনা সিং ফার্স্ট লেডির মিডিয়া উপদেষ্টা, আয়েশা শাহ পেয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়া এবং মিডিয়া ব্রিফিং-এর দায়িত্ব, সামিরা ফজলি প্রেসিডেন্টের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা, অর্থনৈতিক বিষয়ক আরেক উপদেষ্টা ভারত রামমূর্তি, প্রেসিডেন্টের জন্য কর্মী নিয়োগ করবেন গৌতম রাঘবন, রাষ্ট্রপতির সহকারী প্রেস সচিব বেদান্ত প্যাটেল , পরিবেশ বিষয়ক সিনিয়র উপদেষ্টা সোনিয়া আগরওয়াল, করোনা মোকাবিলা দলের অন্যতম সদস্য বিদুর শর্মা। এমনকী, শপথ গ্রহের পর প্রেসিডেন্ট বাইডেন যে ভাষণটি দিয়েছেন, তাও লিেছেন এক ভারতীয়-মার্কিনি, বিনয় রেড্ডি।

এর আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছিল, ভারতের বেশ কিছু নীতি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেইসঙ্গে ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন পাক সরকারে সঙ্গে সম্পর্ক ভাল ছিল বাইডেনের। তাই পাকিস্তান আশা করেছিল, আমেরিকায় ক্ষমতার পরিবর্তন ভারতের পক্ষে অস্বস্তিকর হবে। বেজিং-ও মনে করেছিল, ক্ষমতা বদলে সম্পর্কের রসায়নেরও বদল হবে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা যে হচ্ছে না, তা বাইডেন প্রশাসন প্রথমদিনই স্পষ্ট করে দিল।

 

Share this article
click me!