তিন বোনের গল্পে উন্মুক্ত আরবি সংস্কৃতির নয়া দিগন্ত! ম্যান বুকার জিতে ইতিহাস জোখার

  • এই বছর ম্যান বুকার আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতলেন ওমানি লেখিকা জোখা আলহার্থি
  • 'সেলেস্টিয়াল বডিজ' উপন্যাসের জন্য পেলেন পুরস্কার
  • তিন বোনের চোখ দিয়ে ওমানের পরিবার ও ইতিহাসকে তুলে ধরেছেন
  • পুরস্কার জেতায় আরবি সংস্কৃতির নয়া দিগন্ত খুলে গেল বলে মনে করছেন

 

amartya lahiri | Published : May 22, 2019 8:31 AM IST / Updated: May 22 2019, 02:09 PM IST

এতদিন আরবি ভাষার আর কোনও লেখক যা করে দেখাতে পারেননি, তাই করে দেখালেন ওমানের লেখিকা জোখা আলহার্থি। 'সেলেস্টিয়া বডিজ' উপন্যাসের জন্য ২০১৯ সালের ম্যান বুকার আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতলেন তিনি। পুরস্কার জেতার দৌড়ে ছিল ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকার আরও পাঁচটি উপন্যাস। কিন্তু, তিন বোনের বড় হয়ে ওঠার কাহিনি, এবং তার মধ্য দিয়ে ওমানের পরিবার ও ইতিহাসের ছবির বুননে তৈরি 'সেলেস্টিয়াল বডিজ'-ই প্রথম আরবি ভাষার উপন্যাস হিসেবে সেরা বলে বিবেচিত হয়েছে।

মঙ্গলবার লন্ডনে জমকালো অনুষ্ঠানে আলহার্থির হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন বইটির ইংরেজি অনুবাদক মেরিলিন বুথ-ও। মেরিলিন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্য়ালয়ের আরবি ভাষার অধ্যাপিকা। স্মারকের সঙ্গে তুলে দেওয়া হয় ৬৪,০০০ ডলারের অর্থ পুরস্কারও। এই অর্থ সমান সমান ভাগ করে দেওয়া হয়েছে আরহার্থি ও অনুবাদক মেরিলিন বুথের মধ্যে।

We’re delighted to announce our #MBI2019 winner is Celestial Bodies by Jokha Alharthi, translated by Marilyn Booth and published by Sandstone Press. Read more here: https://t.co/rWHBRXwDOy pic.twitter.com/SfJr2Yg98u

— Man Booker Prize (@ManBookerPrize) May 21, 2019

পুরস্কার গ্রহণের পর আলহার্থি জানিয়েছেন, তাঁর এই পুরস্কার জেতা সমৃদ্ধ আরবি সংস্কৃতির জন্য একটি জানলা খুলে যাওয়ার মতো। এর জন্য তিনি খুবই আনন্দিত। তাঁর উপন্যাসের মূল অনুপ্রেরণা অবশ্যই তাঁর দেশ ওমান। তবে স্বাধীনতা বা ভালবাসার মতো মানবিক মূল্যবোধেও সমৃদ্ধ। যার জন্যই আন্তর্জাতিক পাঠকরা নিজেদের বইটির সঙ্গে সম্পর্কিত করতে পেরেছেন বলে মনে করেন জোখা আলহার্থি।

'সেলেস্টিয়াল বডিজ' -এর কাহিনি ডানা মেলেছে ওমানের এক গ্রাম আত-আওয়াফি'তে। এই গ্রামেই থাকে আলহার্থির উপন্যাসের সেই তিন বোন। বড় বোন মায়া, প্রেম ভেঙে যাওয়ার পর, সেই সম্পর্ককে ভুলতে আবদাল্লা নামে এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেছে। দ্বিতীয় বোন আসমা বিয়ে করেছে কর্তব্যের স্বার্থে। আর ছোটবোন খাওয়ালা অপেক্ষা করছে তার প্রেমাস্পদের জন্য, যে কাজের সূত্রে গিয়েছে কানাডায়। এই তিন বোনের চোখ দিয়েই দাসপ্রথার দেশ থেকে ধীরে ধীরে ওমানের কীভাবে বদল হয়েছে তা দেখিয়েছেন জোখা আলহার্থি। লেখিকার মতে দাসপ্রথার মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা সবচেয়ে ভালো মাধ্যম সাহিত্যই।

 

Share this article
click me!