করোনা আক্রান্ত বিশ্ববাসীর জন্য অবশেষে এল সুখবর, সেরে উঠেছে ওজন স্তরের সবচেয়ে বড় ক্ষত

  • করোনারভাইরাসের মোকাবিলায় বিশ্বের অধিকাংশ দেশে চলছে লকডাউন
  • তার ফলে দূষণ কমে ফের সজীব হয়ে উঠছে আমাদের বসুন্ধরা
  • এর মধ্যেই আশঙ্কার খবর শুনিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা
  • তারা জানিয়েছিলেন উত্তর মেরুতে এজন স্তরে মিনি হোল দেখা দিয়েছে

Asianet News Bangla | Published : Apr 27, 2020 6:08 AM IST / Updated: Apr 27 2020, 11:44 AM IST

যে কোনও ক্ষতিকর প্রভাব থেকে পৃথিবী যে নিজেকে  রক্ষা করতে পারে, যার প্রমাণ মিললো আবারো।  মহামারী করোনাভাইরাসের মধ্যেই বরফে ঢাকা উত্তর মেরুর আকাশে ওজন স্তরে ১০ লাখ বর্গ কিলোমিটারের একটি বিশাল গর্ত তৈরি হয়েছিলো। পৃথিবীর বায়ু মণ্ডলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তর ওজনে এই গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় ভয়াবহ ভবিষ্যতে আশঙ্কা করছিলেন দুনিয়ার আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা। কারণ ওজন স্তর পৃথিবীর জীবন রক্ষা করে। সূর্য থেকে আগত একাধিক ক্ষতিকর রশ্মি, যার মধ্যে অতিবেগুনি রশ্মিও রয়েছে, সেগুলোকে আটকে দেয় ওজন স্তর। যারফলে ভারসাম্য বজায় থাকে। কিন্তু উত্তর মেরুতে এই গর্তের ফলে বিপদের মুখে পড়েছিল পৃথিবীবাসী। বে সবাইকে স্বস্তি নিয়ে সেই গর্ত নিজেই আবার সারিয়ে তুলেছে বসুন্ধরা। 

আরও পড়ুন: করোনাকে জয় করে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে ফিরলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, যোগ দিলেন কাজে

উত্তর মেরুর  আকাশে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়ায় সেখানকার পোলার ভর্টেক্স বা মেরু ঘূর্ণাবর্ত অনেকটাই স্থিতিশীল হয়ে পড়ে। সেইসঙ্গে অঞ্চলটিতে বায়ুমণ্ডলে ক্লোরিন ও ব্রোমাইনের মতো বিষাক্ত কেমিক্যালের উপস্থিতিও বেড়ে যায়, যা ওজন স্তরকে নষ্ট করে দিতে সক্ষম। স্থিতিশীল মেরু ঘূর্ণাবর্ত ও বিষাক্ত কেমিক্য়ালের কারণেই ওজন স্তরে বিশাল গর্তটি তৈরি হয়। ওজন স্তরের এই ছিদ্রকে মিনি হোল নাম দেওয়া হয়। স্ট্যোটোস্ফিয়ারের তাপমাত্রা অত্যাধিক কমে যাওয়ার ফলেই ঘটে এই ঘটনা।

আরও পড়ুন: সাহসিকতায় ফের নজির গড়ল নারীশক্তি, আমেরিকার মত ব্রিটেনেও প্রথম ভ্যাকসিন নিলেন এক মহিলা

তবে ইউরোপের স্পেস এজেন্সি সম্প্রতি দাবি করেছে উত্তর মেরুতে তৈরি হওয়া সেই মিনি হোল নাকি নিজেই সারিয়ে নিয়েছে পৃথিবী। এই বিষয়ে  কপারনিকাস অ্যাটমসফিয়ার মনিটরিং সার্ভিস (সিএএমএস) ও কপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের (সি৩এস) তথ্যে এমনটাই জানা যাচ্ছে।  ট্যুইটারে তারা বায়ুমণ্ডলের নতুন কিছু ছবিও প্রকাশ করেছে। 

 

 

সূর্য থেকে আসা আলোক রশ্মির ফলে পৃথিবীতে প্রাণের সঞ্চার হয়। তবে এই আলোর সঙ্গে সেখান থেকে অতি বেগুনি রশ্মিসহ আরো অনেক ক্ষতিকর পদার্থও পৃথিবীতে চলে আসে, যা মানব জাতিসহ অন্যান্য প্রাণীর জন্যও মারাত্মক ক্ষতিকর।  তবে এই ক্ষতিকর আলোক রশ্মিগুলোকে শোষণ করে নেয় ওজন স্তর, এছাড়া শুষে নেয় বিষাক্ত কার্বন-ডাই-অক্সাইডও। এর মাধ্যমে পৃথিবীকে ও পৃথিবীর সব প্রাণকে রক্ষা করে ওজোন স্তর। এ কারণে পৃথিবীর বায়ু মণ্ডলের স্তর সমূহের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলা হয় ওজোন স্তরকে।

Share this article
click me!