পাকিস্তানের ইসলামাবাদে অবস্থিত প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ভাড়া দিতে চলেছে পাক সরকার। দেশে চলা আর্থিক দুরবস্থাই এর জন্য দায়ি বলে জানাচ্ছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
এত খারাপ অবস্থা পাকিস্তানের (Pakistan)? এতটাই খারাপ পরিস্থিতি যে টাকা তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন (Prime Minister`s official residence) ভাড়া (rent) দিতে হচ্ছে? এমনই ঘটনা ঘটতে চলেছে। পাকিস্তানের ইসলামাবাদে অবস্থিত প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ভাড়া দিতে চলেছে পাক সরকার। দেশে চলা আর্থিক দুরবস্থাই এর জন্য দায়ি বলে জানাচ্ছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
তবে সূত্রের খবর, ওই বাসভবনে ইমরান খান (Imran Khan) থাকেন না। তিনি ২০১৯ সালেই এই বাড়ি খালি করে দিয়েছিলেন। শাসক দল পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ ২০১৯ সালেই জানিয়ে ছিল প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করা হবে। তারপরেই বাসভবন ছেড়ে দেন ইমরান। তিনি বর্তমানে বানি গালার বাড়িতে থাকেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর অফিস ব্যবহার করেন।
এখন পাক সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি বাসভবনকে ভাড়া দেওয়া হবে নানা সামাজিক অনুষ্ঠান, শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান, ফ্যাশন শো, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য। বাসভবনের চত্বরে এইসব অনুষ্ঠান করা হবে বলে খবর। উল্লেখ্য ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বিয়েবাড়ি ভাড়া দেওয়া হয়। তা নিয়ে বিতর্ক চরমে উঠেছিল। পাকিস্তানের শিক্ষামন্ত্রী শফকত মাহমুদ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনটির রক্ষণাবেক্ষণের বার্ষিক খরচ ৪৭ লক্ষ টাকা। তাই বাসভবনটিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছিল।
পাকিস্তান সরকার সূত্রে খবর প্রধানমন্ত্রীর ভবনের অডিটোরিয়াম, দুটি অতিথি শাখা এবং একটি লন ভাড়া দেওয়া যেতে পারে।সামা টিভি জানাচ্ছে এই উদ্দেশ্যে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যাতে নিশ্চিত করা যায় যে অনুষ্ঠান চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী ভবনের শৃঙ্খলা এবং সজ্জা লঙ্ঘিত হয় না।
বাড়ির সদর দরজায় ছোট্ট কিছু পরিবর্তন, ফিরিয়ে দেবে আপনার অর্থ ভাগ্য
Vastu Tips: বেডরুমের এক কোণায় রেখে দিন নুন, সংসারে ফিরবে শান্তি-সমৃদ্ধি
সূর্যের গা থেকে ছিটকে বেরোচ্ছে আগুনের গোলা, ভয়ঙ্কর সুন্দর ভিডিও প্রকাশ করল নাসা
দেশের ব্যর্থ অর্থনীতিকে কিছুটা স্বস্তি দিতে সরকারি খরচ কমানোর জন্য ইমরান খান কঠোর পদক্ষেপ নিলেও গত তিন বছরে পাকিস্তানের অর্থনীতি ১৯ বিলিয়ন ডলার কমে গেছে। ফলে বেশ চাপে পড়ে রয়েছে পাকিস্তান। এদিকে, পাকিস্তানের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য অনেকাংশেই চিনের উপর নির্ভরশীল ইমরান খানের সরকার। তার উপর করোনা লকডাউনে পাক অর্থনীতির উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। যার জেরে প্রায় দেউলিয়া অবস্থা পাক সরকারের।