পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জরদারি ভারত সফরে আসছেন। পাকিস্তান শুভেচ্ছা বিনিয়মের জন্য ৬০০ ভারতীয় মৎসজীবীকে মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আর্থিক সংকটে ভোগা পাকিস্তান ভারতের দিকে মিত্রতার হাত বাড়িতে দিতে গুরত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। পকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি গোয়াতে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা বা SCO বৈঠকে যোগ দিতে ভারতে এসেছেন। আর সেই উপলক্ষ্যে ভারতের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য পাকিস্তান তাদের জেলে থাকা ৬০০ ভারতীয় মৎসজীবীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংশ্লিষ্টদের দুই দেশের সমুদ্রসীমা লঙ্ঘন করার অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী ২০০ মৎজীবীকে প্রথমে মুক্তি দেওয়া হবে। প্রথম পর্যায়ের মৎজীবীরা মুক্তি পাবে আগামী ১২ মে। বাকি ৪০০ মৎজজীবীকে মুক্তি দেওয়া হবে আগামী ১৪ মে। পাকিস্তানের এই পদক্ষেপ দুই দেশের মধ্যে শত্রুতা কমাতে পারে বলেও মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। ভারত - পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে দীর্ঘ দিনের সমস্য়া রয়েছে। পাকিস্তান সমস্যা সমাধানে নারাজ। তারা গোটা বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু ভারত তা চায় না।
যাইহোক ভারত বা পাকিস্তান দুই দেশেরই বিদেশী বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে কোনও সুস্পষ্ট নীতি নেই। যার কারণে সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও অনেকেরই বন্দিদশা ঘোচে না। বর্তমানে ৭০৫ জন ভারতীয় নাগরিক পাকিস্তানের জেলে বন্দি রয়েছে। যারমধ্যে অধিকাংশই মৎসজীবী। অন্যদিকে ভারতের জেলে ৪৩৪ জন পাকিস্তানি বন্দি রয়েছে। যাদের মধ্যে মাত্র ৯৫ জন মৎসজীবী।
পকিস্তানের জেলে বন্দি ভারতীয় মৎসজীবীদের দুর্দশার কথা তুলে গত ১ মে পাকিস্তানের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান রাবিয়া জাভেরি আগা কারাবন্দিদের মুক্তির জন্য অভিযান শুরু করেছিলেন। মানবাধিকার কমিশন প্রচারের সময় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চুক্তির কথা উল্লেখ করেছে। দাবি করেছে দুই দেশ এই অভিবাসীদের মুক্তির জন্য আলোচনা করতে পারে। আর সেই জন্য একটি কর্মসূচি গ্রহণের কথাও বলেছে তারা। দুই দেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলো বারবার সরকারের কাছে মৎসজীবীদের জন্য নো-অ্যারেস্ট নীতির দাবি জানিয়েছে। এই মৎসজীবীদের মুক্তির ফলে উভয় দেশই ইতিমধ্যেই কারাগারের ভিড় কমাতে পারে। বন্দিদের পরিবারও স্বস্তি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর মুক্তিপ্রাপ্ত মৎসজীবীদের ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ইধি ফাউন্ডেশন মুক্তিপ্রাপ্ত ২০০ মৎসজীবীকে সড়কপথে লাহোর নিয়ে যাবে। সিন্ধ প্রদেশের সরকার প্রত্যেক ভারতীয়কে ৫ হাজার টাকা , খাদ্য সামগ্রী ও উপাহার দেবে। মানবাধিকার সংগঠনগুলি দীর্ঘদিন ধরেই এই পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল। তবে পাকিস্তান সরকারে সবুজ সংকতের পরে তাদের এই পদক্ষেপের প্রশাংসা করা হয়েছে। এবার সংগঠনগুলি মৎসজীবীদের আকটের স্থায়ী সমস্যা সমাধানের দিকে জোর দেবে বলেও অনেকে মনে করছে।
আরও পড়ুনঃ
ধর্ম পালনেরও স্বাধীনতা নেই! একসঙ্গে ৫০ হিন্দুকে মুসলমান করা হল রাতারাতি
কোভিড-১৯ মহামারি শেষ, জরুরি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রয়োজন নেই বলে ঘোষণা WHO-র