নতুন সেনাপ্রধান পেতে চলেছে পাকিস্তান, পদের জন্য এই পাঁচটি নাম সুপারিশ করল প্রধানমন্ত্রীর দফতর

জেনারেল বাজওয়া তিন বছর মেয়াদ বাড়ানোর পর ২৯ নভেম্বর অবসর নেবেন বলে খবর। রিপোর্টে বলা হয়েছে ৬১ বছর বয়েসী জেনারেল বাজওয়ার তিন বছর মেয়াদ বাড়ানো হয়। এর পর ২৯ নভেম্বর অবসরে যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।

Web Desk - ANB | Published : Nov 21, 2022 12:08 PM IST

পাকিস্তানে নতুন সেনাপ্রধান নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সোমবার নতুন সেনাপ্রধান নিয়োগের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঁচটি নাম সুপারিশ করেছে, যিনি জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার স্থলাভিষিক্ত হবেন। উল্লেখ্য বাজওয়া ২৯ নভেম্বর পদ থেকে সরে যাচ্ছেন। নতুন সেনাপ্রধান সেইদিনই তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবেন বলে জানা গিয়েছে। পাক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী এই তথ্য মিলেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্ট (PAA) ১৯৫২ অনুযায়ী প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে তার উত্তরাধিকারী নিয়োগের পথ প্রশস্ত করতে সেনাপ্রধানের (COAS) রিলিভিং সামারি জারি করতে হবে।

জেনারেল বাজওয়া তিন বছর মেয়াদ বাড়ানোর পর ২৯ নভেম্বর অবসর নেবেন বলে খবর। রিপোর্টে বলা হয়েছে ৬১ বছর বয়েসী জেনারেল বাজওয়ার তিন বছর মেয়াদ বাড়ানো হয়। এর পর ২৯ নভেম্বর অবসরে যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। তিনি আরেকটি মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব নাকচ করেছেন। এক্সপ্রেস ট্রিবিউন পত্রিকা সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সোমবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে নতুন সেনাপ্রধান নিয়োগের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন পেয়েছে। প্রতিবেদনে পাঁচজন শীর্ষ জেনারেলের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পত্রিকাটি বলেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এখনও প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে প্রতিবেদন প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। নতুন সেনাপ্রধান ২৯ নভেম্বর দায়িত্ব নেবেন কারণ বর্তমান জেনারেল বাজওয়া ছয় বছর দায়িত্ব পালনের পর অবসর নেবেন।

সবার দৃষ্টি এখন বাজওয়ার উত্তরসূরি নিয়োগের দিকে। অনেকে মনে করেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের লংমার্চ সেনাবাহিনীর কমান্ড পরিবর্তনের অন্যতম কারণ। জেনারেল বাজওয়া নতুন সেনাপ্রধানের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের দুই দিন আগে ২৬ নভেম্বর রাওয়ালপিন্ডিতে সমর্থকদের জড়ো হতে বলেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক ডন পত্রিকাকে বলেন, সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়ার চিত্র স্পষ্ট হবে। সিনিওরিটি অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটি ও সেনাপ্রধানের চেয়ারম্যান পদে লেফটেন্যান্ট জেনারেল অসীম মুনির, লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা, লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজহার আব্বাস, লেফটেন্যান্ট জেনারেল নুমান মেহমুদ এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়েজ হামিদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) গত সপ্তাহে জানিয়েছে যে জেনারেল বাজওয়া ২৯ নভেম্বর অফিস ছেড়ে দেবেন। এরপরেই নতুন প্রধানের নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক আরও তীব্র হয়েছে। এর সাথে যুক্ত হয়েছে আগাম নির্বাচনের দাবিতে ইমরান খানের লংমার্চ থেকে উদ্ভূত বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিয়ে বিতর্ক। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, ইমরান খানের লংমার্চের অন্যতম উদ্দেশ্য সেনাপ্রধান নিয়োগের ওপর চাপ সৃষ্টি করা, যদিও খান এ ধরনের দাবি অস্বীকার করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি সূত্র ডন পত্রিকাকে জানিয়েছে যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ২৭ নভেম্বরের আগে নতুন সেনাপ্রধান নিয়োগের জন্য একটি সারসংক্ষেপ প্রস্তুত করবে।

আরও পড়ুন

পাকিস্তান-চিন অর্থনৈতিক করিডোর নিয়ে উদ্বেগে ভারত, সার্বভৌমত্বে থাকা এলাকায় নাক গলাচ্ছে দুই প্রতিবেশী দেশ?

আন্তর্জাতিক বাজারে সস্তা অশোধিত তেল, কতটা প্রভাব পড়ল দেশীয় বাজারে? জানুন আজ কোন শহরে কত বিকোচ্ছে জ্বালানি

Share this article
click me!