কথা হল নরেন্দ্র মোদী ও জো বাইডেনের। একজন ভারতের প্রধানমন্ত্রী, অন্যজন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। এর আগে মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষপদে ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তখনও ট্রাম্পের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মোদীর সম্পর্ক ছিল মধুর। আর এই মধুর সম্পর্কের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত ও আমেরিকা দুই দেশের কাছেই ফায়দার বলে সাব্যস্ত হয়েছে। আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলাপচারিতায় ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে একটা নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার পক্ষেই সওয়াল করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
মোদী এবং বাইডেন একাধিক বিষয়ে পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার দিকেই সহমত পোষণ করেছেন। এই সব বিষয়ের মধ্যে যেমন রয়েছে নানা আন্তর্জাতিক বিষয়ে একে অপরের পাশে থাকার অঙ্গিকার, তেমনি ভারত-মার্কিন সম্পর্কের মাঝে ঝুলে থাকা নানা বিষয়গুলোকে একটা সমঝোতার টেবিলে নিয়ে আসা। এমনকী এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তৈরি হওয়া বিবাদ নিয়েও একে অপরের পাশে থাকার কথা বলেছেন মোদী ও বাইডেন।
আরও পড়ুন- রাজ্যসভায় কৃষি আইন নিয়ে মনমোহনকে ঢাল , আলোচনার জন্য তৈরি বলেও কৃষকদের বার্তা মোদীর
আরও পড়ুন- ভারত নিয়ে নতুন মার্কিন রাষ্ট্রপতির প্রথম বিবৃতি, পাক-চিনের উদ্বেগ বাড়ালেন বাইডেন
আলাপচারিতার পরে জো বাইডেনের সঙ্গে কথোপকথেনর বিষয়টি টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তিনি পরিস্কার জানান, রুল বেসড আন্তর্জাতিক বিষয়ে বাইডেন তাঁর সঙ্গে সহমত হয়েছেন। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা রক্ষা থেকে কৌশলগত সম্পর্কের বিষয়টিতেও বাইডেন তাঁর সঙ্গে ঐক্যমত পোষণ করেছেন বলে জানিয়েছেন মোদী।
জানা গিয়েছেন, বিশ্ব জলবায়ু বিষয়েও কথা বলেছেন দুই নেতা। নানা অভিযোগ তুলে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাইডেন আশ্বাস দিয়েছেন প্যারিস জলবায়ু চুক্তি রক্ষায় আমেরিকাকে তার অবস্থানে ফিরিয়ে আনার। পুনরপজ্জীবন শক্তি নিয়ে ভারত যে এক নতুন দিশায় যেতে চাইছে সে বিষয়েও বাইডেনের সঙ্গে কথা হয়েছে মোদীর। এই ক্ষেত্রে ভারতকে সবধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন বাইডেন।
আরও পড়ুন- 'কৃষকদের প্রকল্প নিয়েও রাজনীতি বাংলায়', কৃষি আইনের পক্ষে সওয়াল মোদীর
জানুয়ারিতেই আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নিয়েছেন জো বাইডেন। সে সময় টুইট করে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তখন সেই টুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘের নির্দেশিত আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তারক্ষার আধারেই আমেরিকার সঙ্গে কাজ করতে বদ্ধপরিকর ভারত। আর এইভাবেই ভারত ও আমেরিকার সম্পর্ককে এক নতুন দিগন্তে নিয়ে যাওয়ার কথাও বলেছিলেন মোদী।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর আরও একটি টুইটে জানিয়েছেন যে, পারস্পরিক মূল্যবোধের আদানপ্রদান থেকে শুরু করে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়, পারস্পরিক আর্থিক নির্ভরতাকে শক্তিশালী করা এবং মানবসম্পদের আদানপ্রদানের মধ্যে দিয়ে দুই দেশই এক নতুন দিশায় যেতে চাইছে। এই নিয়ে বাইডেন সদর্থক বার্তা দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন মোদী। তিনি নিজেও যে বাইডেনের সঙ্গে এক শক্তিশালী সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে ভারত-মার্কিন সম্পর্কের মজবুতি চাইছেন তাও জানিয়েছেন মোদী।