ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন বরিস জনসন। তার এই সিদ্ধান্ত , স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে যে আসন্ন নির্বাচনে ঋষি সুনাক হতে চলেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন বরিস জনসন। তার এই সিদ্ধান্ত , স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে যে আসন্ন নির্বাচনে ঋষি সুনাক হতে চলেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। যদিও পেনি মরডান্ট সহ অন্যান্য প্রতিযোগীরাও লীজের বিকল্প হিসাবে নিজেদের যোগ্যতা প্রমান করতে মরিয়া । কিন্তু বর্তমান ব্রিটিশ পার্লামেন্টের গতিবিধি প্রমান করছে যে সময় ঋষি সুনাকের সহায়। ঋষি ইতিমধ্যেই জোগাড় করে ফেলেছেন প্রায় ১৪২ জন এমপির সমর্থন যা প্রধানমন্ত্রী হবার জন্য হবার জন্য প্রয়োজনীয় সমর্থনের চেয়ে অনেক বেশি।
আসুন জেনেনি কেন আপাতদৃষ্টিতে প্রধানমন্ত্রীর পদটির দাবিদার মনে হচ্ছে ঋষি সুনাককে।
১. প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ১০০ জন এমপির সমর্থন প্রয়োজন সেখানে ঋষি ইতিমধ্যেও কুড়িয়েছে ১৪২ জনের সমর্থন।
২.ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই প্রাক্তন চ্যান্সেলর এখন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ব্যাপকভাবে কাঙ্খিত। এই বিষয়টি বুঝতে পেরেই তিনি সম্প্রতি তার এক বক্তৃতায় বলেন ,"আমি ব্রিটেনের অর্থনীতিকে ঠিক করতে চাই, আমাদের দলকে একত্রিত করে এক উন্নত অর্থনীতি উপহার দিতে চাই দেশকে ," তার এই বক্তৃতা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় ব্রিটেনবাসীর কাছে।
৩, বরিস জনসন কিছুদিন আগে পর্যন্তও ছিলেন ঋষির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। এমনকি কিছুদিন আগেও ১০০ জন আইন- প্রণেতার সমর্থন পাবার জন্য তিনি ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে নিজের ছুটির মেয়াদ শেষ হবার আগেই ফিরে আসেন ব্রিটেনে । যোগদান করেন কাজে। সেই বরিসের লড়াইয়ের ময়দান থেকে সরে দাঁড়ানোয় সিদ্ধান্ত ঋষির প্রধানমন্ত্রী পদ পাওয়াকে আরও সুপ্রশস্ত করেছে।
৪.বরিস যেখানে বলেছিলেন যে তিনি আবার ডাউনিং স্ট্রিটে ফিরে আসতে পারেন সেখানে সুনাক ও মরডান্ট এর জাতীয় স্বার্থে একত্রিত হবার সিদ্ধান্ত আদতে সুনাকের ভোটের পাল্লা ভারী করে।
৫."আমি বিশ্বাস করি আমার অনেক কিছু দেওয়ার আছে দেশকে কিন্তু আমি ভয় পাচ্ছি যে এটি তার সঠিক সময় নয়," বরিস জনসনের এই ঘোষণার পর সুনাক ব্রেক্সিট, কোভিড ভ্যাকসিন রোলআউট এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ সহ কিছু কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তার প্রাক্তন বসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে একটি টুইট করেন।সুনাক তার টুইটে আরও বলেন "যদিও তিনি আবার প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আমি সত্যিই আশা করি যে তিনি দেশে এবং বিদেশে জনজীবনে অবদান রেখে যাবেন আজীবন "
৬. জনসনের প্রস্থানের পর পেনি মর্ডান্ট হলেন ঋষি সুনাকের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বি। তবে মর্ডান্ট এখন ১০০ জন সমর্থককে সুরক্ষিত করার পথ থেকে শতহস্ত দূরে । আসন্ন নির্বাচনে তিনি মাত্র ২৯ জন এমপির সমর্থন পান।
৭.ভারতে, মিঃ সুনক তার স্ত্রী, অক্ষতা মূর্তির মাধ্যমে আরও বেশি পরিচিত হচ্ছেন। কারণ অক্ষতা , ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তি-এর কন্যা।