পরিসংখ্যান বলছে গড়ে একজন ভাল স্নাইপার একদিনে ৫ থেকে ৬ জনকে হত্যা করতে পারেন। কিছু ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ৭ থেকে ১০-র ঘরে ঘোরাফেলা করলেও ৪০ হত্যার এই অনন্য নজির ওয়ালির মুকুটেই রয়েছে।
পেরিয়ে গিয়েছে দু-সপ্তাহের বেশি সময়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু এরইমাঝে এবার সকলের নজর পড়েছে এক ভিন্ন স্বাদের নজরকাড়া খবরে। যা নিয়ে এই খবর, তিনি আর কেউ নন বিশ্বের অন্যতম সেরা এক স্নাইপার। কানাডিয়ান এই স্নাইপার ওয়ালি নামেই পরিচিত। ওয়ালি আদপে তাঁর ডাকনাম। যা নিয়েউ তোলপাড় গোটা বিশ্ব। কিন্তু কেন এত শোরগোল? নিশ্চয় আপনার মনে উুঁকি দিচ্ছে সেই প্রশ্নই। এর উত্তরটাও খুবই সহজ। ওয়ালিকে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ স্নাইপারদের মধ্যে একজন বলেই মনে করা হয়। এর কারণ হিসাবে বলতে গেলে যুদ্ধ চলকালীন তিনি একদিনে ৪০ জনকে গুলি করে হত্যা করতে পারেন। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে গড়ে একজন ভাল স্নাইপার একদিনে ৫ থেকে ৬ জনকে হত্যা করতে পারেন। কিছু ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ৭ থেকে ১০-র ঘরে ঘোরাফেলা করলেও ৪০ হত্যার এই অনন্য নজির ওয়ালির মুকুটেই রয়েছে।
এদিকে এই খবর আগেই শোনা গিয়েছিল যে পশ্চিমী বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ইউক্রেনেকে প্রত্যক্ষ সমর্থন না করলেও অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে তাদের সাহায্য করছে। আর সেই কারণেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বারেবারেই দাবি করে এসেছেন এই যুদ্ধে তাঁর জয়ই নিশ্চিত। এই যুদ্ধেই এবার তাঁর নতুন সঙ্গী ‘দি মার্কসম্যান’। আর্ন্তজাতিক মহলে তিনি দীর্ঘদিন থেকেই পরিচিত ‘ওয়ালি’ নামে।কিন্তু ৪০ বছর বয়সী ওয়ালি আদপে কিন্তু একজন ফ্রেঞ্চ-কানাডিয়ান কম্পিউটার বিজ্ঞানী। একইসঙ্গে তিনি আবার কানডার ২২ তম রেজিমেন্টের সদস্যও বটে।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে উইক্রেনে পৌঁছে গিয়েছে কানাডার ভয়ঙ্করতম স্নাইপার। এর আগে ২০১৫-তে আইএসের সঙ্গে লড়াই করতেও ইরাকে গিয়েছিলেন তিনি। ২০০৯ এবং ২০১১-তে কানাডিয়ান আর্মড ফোর্সের সঙ্গে আফগানিস্তানে লড়াই করেছেন তিনি। এবার পালা ইউক্রেনে। ওয়ালির স্ত্রী ও পুত্র সন্তান রয়েছে। কিন্তু স্ত্রী, পুত্রকে ছেড়ে রাশিয়ানদের বিরুদ্ধে ইউক্রেনে লড়তেও দ্বিধা করেননি এই কানাডিয়ান যোদ্ধা। যুদ্ধে যোগদান প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ওয়ালি জানান, এক সপ্তাহ আগেও নাকি তিনি কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু এখন তিনি বন্দুক নিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে অবতীর্ণ হয়েছেন। এটাই আসল সত্য। তিনি বলেন, “আমি যেন দমকল কর্মীদের মত একটি অ্যালার্ম শুনতে পাই যুদ্ধে যাওয়ার জন্য। কিন্তু আমার স্ত্রী পছন্দ করেননি যে আমি ইউক্রেন যুদ্ধের অংশ হব। কিন্তু আমি কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে ইউক্রেন এসেছি।”
আরও পড়ুন- যোগী ঝড়ে ধরাশায়ী অখিলেশ-মায়াবতী, উত্তরপ্রদেশে সর্ব বৃহৎ দল হিসাবে ফের আত্মপ্রকাশ বিজেপির