পুতিন সতর্ক করে বলেছেন ইউক্রেনের ভূখণ্ড থেকে এটি করা পুরোপুরি অসম্ভব। তবে এটি অন্যান্য দেশ এই অবরোধ করতে পারে। কিন্তু এই ধরনের কোনও পদক্ষেপই রাশিয়া বরদাস্ত করবে না। অন্য কোনও দেশ যদি ইউক্রেনের ওপর নো ফ্লাই জোন আরোপ করে তাহলে রাশিয়া সশস্ত্র সংঘাতের পথেই হাঁটবে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine war) ১০ দিনে আরও বেশি আগ্রাসী রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। শনিবার পুতিন বলেছেন ইউক্রেনেরওপর নো-ফ্লাই জোন (No Fly Jone) প্রতিষ্ঠার জন্য অন্য কোনও দেশ যদি চেষ্টা করে তাহলে মোকিবিলায় করবে মস্কো। প্রয়োজনে সশস্ত্র সংঘাতে জড়াতেও পিছপা হবে না। তিনি আরও বলেছেন রাশিয়ার শর্ত যদি ইউক্রেন না মেনে নেয় তাহলে খুব তাড়াতাড়ি দেশটি রাষ্ট্রের মর্যাদা হারাতে (lose statehood) পারে।
দ্যা নিউ ইয়র্ক টাইমস ও দ্যা ফক্স নিউজের প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। দুটি সমবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে রাশিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছিলেন রুশ প্রসিডেন্ট পুতিন। সেই বৈঠকেই তিনি বলেছেন, মস্কো শুনেছে ইউক্রেনের ওপর একটি নো-ফ্লাই জোন আরোপ করা হতে পারে বলে। যদি এমনটা হয় তাহলে রাশিয়া রুখে দেওয়ার জন্য সশস্ত্র সংঘাতের পথেই হাঁটবে।
পুতিন সতর্ক করে বলেছেন ইউক্রেনের ভূখণ্ড থেকে এটি করা পুরোপুরি অসম্ভব। তবে এটি অন্যান্য দেশ এই অবরোধ করতে পারে। কিন্তু এই ধরনের কোনও পদক্ষেপই রাশিয়া বরদাস্ত করবে না। অন্য কোনও দেশ যদি ইউক্রেনের ওপর নো ফ্লাই জোন আরোপ করে তাহলে রাশিয়া সশস্ত্র সংঘাতের পথেই হাঁটবে। তিনি আরও বলেন এজাতীয় পদক্ষেপ রুশ সেনাদের কাছে একটি হুমকি স্বরূপ হয়ে দাঁড়াবে। তিনি সতর্ক করে দিয়ে আরও বলেছেন এজাতীয় পদক্ষেপ যদি অন্য কোনও দেশ নেয় তাহলে রাশিয়া সেকেন্ডের মধ্য়েই সেই দেশের সঙ্গে যুদ্ধে জড়়িয়ে পড়বে। সংশ্লিষ্ট দেশটি কোন দেশের সদস্য তা নিয়ে কোনও চিন্তাভাবনা করবে না।
সূত্রের খবর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ন্যাটোকে তাদের দেশের ওপর নো ফ্লাই জোন আরোপ করার জন্য চাপ দিচ্ছেন। কিন্তু ন্যাটো এখনও পর্যন্ত তাতে মত দেয়নি। ন্যাটো স্পষ্ট করে দিয়েছে এই পদক্ষেপ নিলে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে হবে। যা আরও বড় যুদ্ধের সম্ভাবনাকে উস্কে দেবে। অন্যদিকে পুতিনও রীতিমত হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন এজাতীয় কোনও পদক্ষেপ শুধু ইউরোপ নয় বিশ্বের জন্য ভয়ঙ্কর বিপর্যয় ডেকে আনবে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমের দেশগুলির নিষেধাজ্ঞাকে তিনি যুদ্ধ ঘোষণার মত করেই দেখছেন বলেও জানিয়েছেন।
পুতিন আরও বলেছেন রাশিয়ার একাধিক প্রস্তাব ইউক্রেন সরকারের কাছে পাঠিয়েছে। কিয়েভের সঙ্গে তিনি যে আলোচনায় বসতে এখনও রাজি রয়েছেন তাও জানিয়েছেন। পুতিন বলেছেন তিনি এখনও আশা করেন কিয়েভ থেকে ইতিবাচক সাড়া তিনি পাবেন। পাশাপাশি ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন তার প্রস্তাব যদি না মানা হয় তাহলে তাড়াতাড়ি ইউক্রেন তার রাষ্ট্রীয় মর্যাদা হারাবে। তিনি আরও বলেছেন ইউক্রেনের নেতাদের বুঝতে হবে তারা যা করছে , যেভাবে রাশিয়াকে প্রতিহত করছে তা যদি দীর্ঘদিন ধরে করতে থাকেন তাহলে দেশটির জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে। রাষ্ট্র হিসেবে ইউক্রেনের কোনও অস্তিত্ব থাকবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আর এর জন্য ইউক্রেনের নেতারাই দায়ি থাকবেন বলেও জানিয়েছেন।