এদিকে এর আগে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছেন যে রাশিয়ান সেনারা যুদ্ধবিরতি চলাকালীনও তাদের আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে থাকে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলে।
রাশিয়ার একাধিক সীমান্তে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আগেই করেছিল রাশিয়া। যদিও তার বাস্তবায়ন নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমনকী তাদের বিরুদ্ধেই সংঘর্ষবিরতি চুক্তি না মানারও অভিযোগ তুলেছিল ইউক্রেন। এই দোলাচলের পরিস্থিতির মধ্যে শিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দাবি করেছেন, ইউক্রেন ইউক্রেনের মারিউপোল ও ভলনোভাখায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। যুদ্ধবিরতির মধ্যে থাকা এই এলাকাগুলি থেকে অসামরিক লোকদের সরিয়ে কাজ শুরু হলেও এই কারণে তা ব্যর্থ হয় বলেও দাবি করা হয়েছে। এদিকে এর আগে, ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছেন যে রাশিয়ান সেনারা যুদ্ধবিরতি চলাকালীনও তাদের আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে থাকে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলে।
এদিকে এদিন শেষ পাওয়া আপডেটে জানা গিয়েছিল ইউক্রেনের মারিউপোলের পাশাপাশিভলনোভাকা শহরেও যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা করেছিল রাশিয়া। জিএমটির সময়ে সকাল ৬টা থেকে মোট সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার জন্য যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করে পুতিনের। যুদ্ধ ক্ষেত্রে আটকে পড়া সাধারণ মানুষ ও বিদেশি পড়ুয়াদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যেতে করিডোর তৈরি করে দিতেই এই যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা করা হয়েছিল বলে পুতিন প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছিল। এদিকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর ১০ দিন কেটে গিয়েছে। এদিকে সংখ্যাটা পরিষ্কার না হলেও ১০ দিনে এখও পর্যন্ত ইউক্রেনে সাড়ে তিনশো সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি ৭০৭ জন আহত হয়েছেন। রাষ্ট্রসংঘের একটি নজরদারি মিশনের তরফে এই তথ্য সামনে আনা হয়েছে। তবে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনের তরফে এও বলা হয়েছে প্রকৃত পরিসংখ্যান আদপে অনেক বেশি হতে পারে।
আরও পড়ুন- রাশিয়ান মহাকাশযান থেকে মুছে গেল আমেরিকা-জাপান-ব্রিটেনের পতাকা, রইল ভারতের তেরঙা পতাকা
এদিকে যুদ্ধ শুরু হওয়ার ১০ দিন পরে এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনের অনেক শহর এখনও রুশ সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে। এখন মার্কিন ও ন্যাটো কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন যে, যতক্ষণ না সব শহর ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণ নিতে আত্মসমর্পণ করবে ততক্ষণ পর্যন্ত রাশিয়া বোমা বর্ষণ করতে থাকবে। এটি লক্ষণীয় যে এর আগে ন্যাটো নিজেই ইউক্রেনের বিমান রুটকে নো-ফ্লাই জোন হিসাবে ঘোষণা করতে অস্বীকার করেছিল। যা নিয়েও উদ্বেগ বাড়তে থাকে বিভিন্ন মহলে। অন্যদিকে শেষ পাওয়া আপডেটে দেখা যাচ্ছে রাশিয়ান সেনা বাহিনী ইতিমধ্যেই আবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের বোরোদিয়াঙ্কায় একটি মানসিক হাসপাতাল দখল করেছে।