ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের ফেলে যাওয়া একটি কপ্টারের একটি ডানায় দঁড়ি বেঁধে দোলনা বানিয়েছে। আর যুদ্ধ জয়ের অবসরে সেই দোলনায় তারা দোল খাচ্ছে।
মার্কিন সেনার ফেলে যাওয়া হেলিকপ্টার এখন তালিবানদের খেলার বস্তু হয়েছে। আর সেই ভিডিও শেয়ার করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রতিপক্ষ চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লিজিয়ান ঝাও। ঝাও তাঁর শেয়ার করা ভিডিওটেই কিছুটা হলে কটাক্ষের সুরেই লিখিছেন, 'সাম্রাজ্যের করবস্তান আর তাদের যুদ্ধের যন্ত্র। তালিবানরা তাদের বিমানগুলিকে দোলনা আর খেলনায় পরিণত করেছে।'
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের ফেলে যাওয়া একটি কপ্টারের একটি ডানায় দঁড়ি বেঁধে দোলনা বানিয়েছে। আর যুদ্ধ জয়ের অবসরে সেই দোলনায় তারা দোল খাচ্ছে। এই ভিডিওটি নিমেষেই ভাইরাল হয়ে যায়। দেখুন চিনা কর্মকর্তার শেয়ার করা ভিডিওটি।
দীর্ঘ ২০ বছরের যুদ্ধ শেষ হয়েছে। মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু শেষপর্যন্ত মার্কিন সেনার প্রচুর সমারাস্ত্রের দখল নিয়েছে তালিবানরা। মাঝে মাঝেই তাবিলান যোদ্ধাদের মার্কিন সেনার পোষাক পরা আবস্থায় ঘুরতে দেখা যায়। কিন্তু মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সঙ্গে সঙ্গে আফগানিস্তানের দরজা চিনের জন্য খুলে গেছে। বেজিং আফগানিস্তান আর তালিবান সরকার নিয়ে রীতিমত তৎপর।
আরও পড়ুনঃ Afghan Crisis: রক্তাক্ত পঞ্জশির, আমরুল্লাহর ভাইকে চরম অত্যাচার করে খুন তালিবানদের
তালিবানরা সরকার গঠনের মাত্র এক দিন পরেই চিন গোটা বিষয়টিকে নৈরাজ্যের অবসান বলে অভিহিত করেছিল। পাশাপাশি আফগানিস্তান প্রশাসনকে ৩১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ সাহায্যের কথাও ঘোষণা করেছিল। পাশাপাশি তালিবানারও চিনকে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগি হিসেবে দখতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুনঃ সুইমিং পুলে মহিলা কনস্টেবলের সঙ্গে যৌনতা, ভিডিও ভাইরাল হতেই গ্রেফতার পুলিশ কর্তা
তালিবানরা কাবুল দখলের পর রাতারাতি অধিকাংশ দেশই দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছে, সেখানে চিন এখনও কাবুলে তাদের দূতাবাস খুলে রেখেছে। তালিবানরা সরকার গঠনের আগেই বর্তমান উপপ্রধানমন্ত্রী মোল্লা আব্দুল ঘানি বরাদর চিন সফরে গিয়েছিলেন। তিনি কথা বলেছিলেন চিনা বিদেশ মন্ত্রীর সঙ্গেও। কাবুলের পতনের পরেই চিন জানিয়েছিল তারা তালিবানদের পূর্ণ সহযোগিতা করতে চায়। আফগানিস্তানে তালিবানদের সহযোগিতা করেই চিন বাগ্রামে মার্কিনদের পরিত্যক্ত বিমান ঘাঁটিটি দখল নিতে চাইছে। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এই বিমান ঘাঁটিটে মধ্য প্রাচ্যে চিনের আধিপত্য বিস্তারে বিশেষ ভূমিকা নেবে।