হোয়াটসঅ্যাপে যা গোপন কথা বলছেন, সব ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। কারণ একটি সংস্থা গ্রাহকদের ফোনে আড়ি পাতছে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, গ্রাহকদের ফোনে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আড়ি পাতার একটি সফটওয়্যার ঢুকিয়েছে এক সংস্থা। তবে এই সংস্থার নিশানায় রয়েছে আইনজীবী, রাজনীতিক, সাংবাদিক ও সমাজকর্মীরা। এদের সমস্ত গোপন তথ্যের উপর আড়ি পাতছে এই সংস্থা।
এই মুহূর্তে ভারতে বইছে ভোটের হাওয়া। ঠিক এমন সময়েই হোয়াটসঅ্যাপের তথ্য়ের উপর নজরদারির খবরে চিন্তিত হয়ে পড়েছে বিভিন্ন মহল। জানা যাচ্ছে ইজরায়েলের একটি সংস্থা এই কাজ চালাচ্ছে। এই সফটওয়্যারও তারাই তৈরি করেছে, যার মাধ্য়মে হোয়াটসঅ্যাপের কিছুই আর গোপন থাকছে না।
হোয়াটসঅ্যাপে এই আড়ি পাতার ঘটনা যে সত্য, তা স্বীকার করেছেন মার্ক জুকেরবার্গও। এই আড়ি পাতা রুখতে তিনি হোয়াটসঅ্য়াপটিকে আপডেট করারর পরামর্শ দিয়েছেন।
হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাট এনক্রিপটেড থাকে। অর্থাৎ এতটাই গোপন যে তৃতীয় কোনও ব্যক্তির সেই চ্যাট পড়া সম্ভবই নয়। কিন্তু এত কিছু থাকা সত্তেও ইজরায়েলের ওই সংস্থা সফটওয়্যারের মাধ্য়মে নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছো হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে।
তবে এই ঘটনায় ফেসবুককেও কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে। এই ঘটনার কথা মে মাসের শুরুতেই জানতে পারে হোয়াটসঅ্যাপ মালিক ফেসবুক। কিন্তু সেই খবর সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকদের জানানো হয়নি, যাতে গ্রাহকরা অন্য কোনও মঞ্চে সরে যায়। তবে বর্তমানে এই সফটওয়্য়ারের সঙ্গে লড়ার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ আপডেট করার পরামর্শ দিয়েছেন মার্ক জুকেরবার্গ।
তবে এই সফটওয়্যার এতটাই শক্তিশালী যে ফোনের পুরো অপারেটিং সিস্টেমের উপর দখলদারি করচে সক্ষম। তাই শুধু হোয়াটসঅ্য়াপ নয়। পুরো অপারেটিং সিস্টেমই আপডেট করার প্রয়োজন আছে বলে জানিয়েছেন হোয়াটসঅ্যাপের এক প্রতিনিধি। ইজরায়েলের সংস্থা এনএসও গ্রুপ আড়ি পাতছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও ফেসবুক নাম জানায়নি এখনও। কিন্তু কোন দেশের সরকারের নির্দেশে ইজরায়েলের এই সংস্থা আড়ি পাতছিল তা এথনও জানা যায়নি।