এর আগে মহামারীর শেষ নিয়ে আশার কথা শোনাতে দেখা গিয়েছিল সিরাম ইন্সস্টিটিউটের প্রধান আদার পুনাওয়ালা। তাঁর দাবি ছিল সব ঠিক মতো চললে এই বছরের শেষেই বিদায় নিতে পারে মহামারি।
দু’বছরের বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও এখনও গোটা বিশ্বে অব্যাহত রয়েছএ কোভিডেড দাপট। সংক্রমণের পারা কমা তো দূর, ওমিক্রনের হাত ধরে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে (Second Wave of Covid) থরহরিকম্প গোটা বিশ্বই। এর সবচেয়ে খারাপ প্রভাব পড়েছে দরিদ্র দেশগুলোতে। বিশেষ করে সেসব দেশে যেখানে এখনও সঠিকভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়নি। এমতাবস্থায় এবার ফের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভ্যাকসিন সংগ্রহকারী দেশগুলোকে (Vaccine collecting countries) দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যেও সমানভাবে ভ্যাকসিন বিতরণের পরামর্শ দিয়েছে। এদিন ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (World Economic Forum) আয়োজিত ডাভোস সামিটে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি কর্মসূচির প্রধান পরিচালক (Chief Director of the Emergency Program of the world Health Organization) মাইকেল রায়ানের সাফ দাবি এই সময়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সকল দেশেরই কেন্দ্রীয় নীতি হওয়া উচিত। পাশাপাশি ধনী দেশগুলির উদ্দেশ্যে এদিন তিনি বলেন, “কিছু দেশ যখন তাদের নাগরিকদের দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ (করোনা ভ্যাকসিনের চতুর্থ ডোজ) দেওয়ার পরিকল্পনা করছে, তখন আফ্রিকার কিছু দেশ রয়েছে যেখানে লোকেরা তাদের প্রথম ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষা করছে। এটা খুব একটা কাজের কথা নয়। ”
এদিনের সম্মেলনে রায়ান আরও বলেন, সমগ্র বিশ্বের জনসংখ্যাকে সর্বাধিক টিকা দেওয়ার মাধ্যমে মহামারীর প্রকোপ সত্যি কমানো যেতে পারে। কিন্তু এই বিষয়ে আমাদের আরও ভাবনার প্রয়োজন রয়েছে। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, "আমি মনে করি এর দ্বারাই একমাত্র জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার অবসান হবে। এই রাস্তাতে হেঁটেই মহামারিকে প্রকৃত অর্থে শেষ করা এতে পারে। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “এই বছর নিজেই এই লক্ষ্য অর্জনের একটি সুযোগ। তৃতীয় তরঙ্গের হাত ধরেই আমরা মহামারির সমাপ্তির দিকে এগোতে পারি।”একই সেশনে, অক্সফাম ইন্টারন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর গ্যাব্রিয়েল বুচার বলেন, "যদি আমরা সত্যই ন্যায়সঙ্গত বন্টন নিশ্চিত করার জন্য মডেলটিকে আমূল পরিবর্তন করি তাহলে মহামারী শেষ করা সম্ভব হবে। তবে শুধু ভাবনা নয়, ভাবনার সঠিক বাস্তবিক প্রয়োগ দরকার।"
আরও পড়ুন- বিধায়ক পদ কী থাকবে মুকুল রায়ের, সুপ্রিম নির্দেশে দুপ্তাহেই সিদ্ধান্ত নেবেন বিমান
এদিকে এর আগেই মহামারীর শেষ নিয়ে আশার কথা শোনাতে দেখা গিয়েছিল সিরাম ইন্সস্টিটিউটের প্রধান আদার পুনাওয়ালা। তাঁর দাবি ছিল সব ঠিক মতো চললে এই বছরের শেষেই বিদায় নিতে পারে মহামারি। সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসারকে বলতে শোনা যায়, "মহামারীর সংজ্ঞা প্রতিদিন বিকশিত হচ্ছে। তবে সকলকে টিকা দেওয়ার মাধ্যমেই নতুন দিনের দেখা মিলতে পারে। আমরা যখন সকলের হাতে নির্দিষ্ট মাত্রায় ভ্যাকসিন পৌঁছাব তখনই তা সম্ভব হবে। আশা করি এই বছরের শেষ নাগাদ তা ঘটবেয যখন সবাইকে দুই বা তিন ডোজ টিকা দেওয়া হবে, তখন হয়তো আমরা বলতে পারব এর শেষ কোথায়।”
আরও পড়ুন- ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্তে চিন্তিত কেন্দ্র, সংক্রমণ ঠেকাতে রাজ্যের হাতে এল নয়া নির্দেশিকা
আরও পড়ুন- পুলিশ বলছে শ্লীলতাহানি, পড়ুয়াদের দাবি ধর্ষণের চেষ্টা, JNU কাণ্ডে ফের বাড়ছে চাপানউতর