বিশ্বে মহামারি রুখতে ভারতের সহযোগিতা প্রয়োজন, বললেন মাইক্রোসফটের কর্তা বিল গেটস

  • করোনাভাইরাসের প্রতিষেধকের অপেক্ষায় বিশ্ব
  • প্রতিষেধকের চাহিদা পুরণ করতে পারে ভারত 
  • বললেন মাইক্রোসফট কর্তা বিল গেটস
  • ইতিমধ্যেই সেরামের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন তিনি 

Asianet News Bangla | Published : Sep 15, 2020 10:50 AM IST

গোটা বিশ্ব ভারতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।  কারণ বিশ্বের সবথেকে বেশি প্রতিষেধক তৈরি হয় ভারতে। তাই করোনাভাইরাসের হাত থেকে বাঁচাতে  প্রতিষেধকের জন্য ভারতের সহযোগীতা প্রয়োজন।  সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এমনই বার্তা দিয়েছেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠা ও সমাজসেবী বিল গেটস। তিনি বলেন এখনও পর্যন্ত যা অবস্থা তাতে আগামী বছর প্রথম দিকে করোনাভাইরাসের টিকা বাজারে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারত খুব দ্রুততার সঙ্গে প্রতিষেধক সরবরাহ করুক, এটাই চাইছে বিশ্ববাসী। তবে তার জন্য যেন কোনও ভাবেই  করোনার প্রতিষেধকের গুণগতমান আর নিপত্তার সঙ্গে যেন সমঝোতা করা না হয়, সেকথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।

লাদাখে ভারতীয় সেনাদের বিভ্রান্ত করতে নয়া কৌশল, বেজিং ভাইরাল করছে উপগ্রহ চিত্র ...

সংসদে চিনের নাম নিয়ে লাল ফৌজের তীব্র সমালোচনা, ভারত যোগ্য জবাব দেবে বললেন রাজনাথ ...

ভারতের তৈরি করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক কিনতে মুখিয়ে রয়েছে বিল গেটসের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। কারণ তিনি জানিয়েছেন এদেশে তৈরি প্রতিষেধকের ব্রোকারিং করতে উৎসাহী তিনি। জানিয়েছেন, অ্যাস্ট্রোজেনেকা, অক্সোফোর্ড, নেভাভ্যাক্স বা জনসন অ্যান্ড জনসনের প্রতিষেধকের জন্য কথাও বলেছেন। বিল গেটস আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া দেশ আর উন্নয়নশীল দেশের দরিদ্র মানুষদের প্রতিষেধক সরবরাহ করতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। করোনাভাইরাসের প্রতিষেধকের সরবরাহ ত্বরান্বিত করতে ইতিমধ্য়েই সেরাম ইনস্টিটিউটের গাঁটছড়া বেঁধেছেন। সেরামের সঙ্গে প্রতিষেধক তৈরির বিষয় অংশীদারিত্বও হয়েছে বিল ও মিলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের। 

করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক নিয়ে উদ্বেগ বাড়ালেন সেরাম কর্তা, বিশ্ববাসীকে অপেক্ষা করতে হবে ২০২৪ পর্যন্ত ..

ভারতে তিনটি করোনাভাইরাস প্রতিষেধকের ট্রায়াল রান চলছে। অক্সফোর্ডের করোনা প্রতিষেধক কোভিশিল্ড ছাড়াও  দুটি দেশীয় প্রতিষেধক দেশীয় প্রতিষেধক রয়েছে। একটি ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন আর অন্যটি জাইডাস ক্যাডিলা  আবিষ্কার করা প্রতিষেধক। তবে সেরাম ইনস্টিটিউট জানিয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রতিষেধক তৈরি করবে তারা। কিন্তু সংস্থার প্রধান  আদার পুনেওয়ালা একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন গোটা বিশ্বের সকল মানুষের কাছে করোনা প্রতিষেধ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে ২০২৪ সালে। ততদিন অপেক্ষা করতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 
 

Share this article
click me!