জেসিন্ডা আরডার্ন নিজের পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেছেন দলীয় বার্ষিক সভায়। তিনি জানিয়ে দেন এই কাজের জন্য তিনি আর উপযুক্ত নন।
নিউজিল্যান্ডের মহিলা প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন বলেছেন তিনি তাঁর পদ থেকে পদত্যাগ করতে চান। তাঁর পর্টির বার্ষিক সভায় জেসিন্ডা আরডার্ন বলেছিলেন যে এই কাজটি করে যাওয়ার মত যথেষ্ট শক্তি তাঁর নেই। তিনি বলেছেন, ' তাঁর ভান্ডারে আর কাজ করার মত শক্তি নেই।'
এটা এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার তিনি নিজেই প্রধানমন্ত্রীর পদ নিয়ে জল্পনা উস্কে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, দেশের নেতৃত্ব দেওয়ার মত শক্তি তাঁর আছে কিনা তা তিনি দেখবেন। গ্রীষ্মকালীন বিরতির সময় এজাতীয় মন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু সেই সময় তিনি এই পদক্ষেপ নেননি।
তবে নিজের দলের বার্ষিক সভায় জেসিন্ডা আরডার্ন বলেছেন, 'আমি চলে যাচ্ছি কারণ এমন একটি বিশেষ ভূমিকার সঙ্গে দায়িত্ব আছে। আপনি কখন নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সঠিক ব্যক্তি আর কখন তা নয় তার আপনাকেই জানতে হবেয আমি জানি যে আমার আর ট্যাঙ্কে এটির জন্য ন্যায়বিচার করার জন্য যথেষ্ট শক্তি নেই। তাই এই সিদ্ধান্ত। '
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জেেসিন্ডা আরডার্নের মেয়াদ আগামী ৭ ফেব্রুয়ারির পরে শেষ হবে যাবে। 'আমি মানুষ , রাজনীতিবিদরাও মানুষ। আমরা যতক্ষণ পারি ততক্ষণই মানুষের সেবা করতে পারি। তবে এখন আর এটির জন্য আমার উপযুক্ত সময় নয়।' নিউজিল্যান্ডবাসীর তাঁর নেতৃত্বের কথা কীভাবে মনে রাখবে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি সর্বদা দেশের মানুষের প্রতি সদয় হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। 'আমি আশা করি আমি নিউজিল্যান্ডবাসীকে এই বিশ্বাসের সাথে ছেড়ে দেব যে আপনি সদয়, কিন্তু শক্তিশালী, সহানুভূতিশীল কিন্তু সিদ্ধান্তমূলক, আশাবাদী কিন্তু মনোযোগী হতে পারেন। এবং আপনি আপনার নিজের ধরণের নেতা হতে পারেন - যিনি জানেন কখন যাওয়ার সময়'- এটাই তিনি বলেছিলেন।
জেসিন্ডা আরও জানিয়েছেন তিনি দেশের আগামী সাধারণ নির্বাচনে লড়াই করবেন না। তবে আগামি ১৪ অক্টোবর নিউজিল্যান্ডের সাধারণ নির্বাচনের কথা বলেছেন তিনি। তবে ৭ ফেব্রুয়ারি তাঁর প্রধানমন্ত্রীত্নের মেয়াদ শেষ হবে। তিনি মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেই তাঁর পদ ছাড়বেন বলে দলীয় নেতা ও কর্মীদের জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন তিনি দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকবে না। তবে য়া যা করনীয় সবই তিনি করবেন। কিন্তু আগামী নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হচ্ছেন না বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন। জেসিন্ডা নিউজিল্যান্ডের জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রীদের একজন। কোভিড মহামারি মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি।