
নাইরোবিতে বাজছে সত্যজিৎ রায়ের সৃষ্ট সুর। তার সাথে রয়েছে সলিল চৌধুরীর গান। রাহুল দেব বর্মণ আর এ আর রহমানের সাথে জুড়ে যাচ্ছে জ্যামাইকান- আমেরিকান গায়ক হ্যারি বেলাফন্টের রচনার মিডলে। বিশ্ব সঙ্গীত দিবস উপলক্ষ্যে নাইরোবির জলরাম অডিটোরিয়ামে এমনই অপরূপ সমন্বয়ের সৃষ্টি ঘটাতে চলেছেন এক বাঙালি শিল্পী।
কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে বসবাসকারী বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক কর্মী অনন্যা পালের এই উদ্যোগের সাথে কল্লোলিনী কলকাতার একটা দৃঢ় সংযোগ রয়েছে। শনিবার তিনি নাইরোবিতে ‘মিউজিক অ্যান্ড বিয়ন্ড’ নামে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এই অনন্য উদ্যোগেই আফ্রিকান সঙ্গীত বিন্যাসের সাথে জুড়ে গেছে হিন্দি ভজন, ভারতীয় ও আফ্রিকান নৃত্যশিল্পীদের দ্বারা পরিবেশিত শিব তাণ্ডব স্তোত্রম।
বলিউডের গানের সাথে কত্থক এবং ভরত নাট্যমের সংমিশ্রণ পর্যন্ত মুখর ও কল্লোলিত করে দিয়েছে এই অনুষ্ঠানকে। সন্ধ্যার প্রধান আকর্ষণ ছিল সুরের সংমিশ্রণ। সেখানে সত্যজিৎ রায়, সলিল চৌধুরী, রাহুল দেব বর্মণ, এ আর রহমান এবং হ্যারি বেলাফন্টের সৃষ্টি জুড়ে জুড়ে তৈরি হয়েছিল এক পরম সুরের সমারোহ।
জুন মাসের এই অনুষ্ঠানের উদ্যোগী অনন্যা পাল বলেছেন, “সঙ্গীতের শক্তি প্রদর্শনের জন্য এটি একটি উপযুক্ত সময়। আমরা সম্প্রতি কিংবদন্তি হ্যারি বেলাফন্টেকে হারিয়েছি এবং আমরা তাঁকেও একটি বিশেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি।” তাঁর কথায়, “এটি এমন একটি বাদ্যযন্ত্র যেখানে সত্যজিৎ রায়ের রচনাটি নাইরোবিতে বেলাফন্টে, রাহুল দেব বর্মণ, সলিল চৌধুরী এবং এ আর রহমানের সুরের সাথে মিলে যায়। ভারতীয় সঙ্গীত কীভাবে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে, তা দেখানোর জন্য এটি আমাদের উদ্যোগ।”
আরও পড়ুন-
Cyclone Biparjoy: প্রবল বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়ার দাপট, ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর জরুরি বৈঠক
‘শুধু ভারতীয়রাই নন, পৃথিবীর যেকোনও দেশ বিপদের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাহায্য আশা করে’, দাবি বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের
বিবাহিত নারীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মঙ্গলা গৌরী ব্রত, এবছর মোট ৯টি ব্রতের তাৎপর্য অপরিসীম