করোনাভাইরাসের উৎস সন্ধানে মরিয়ে প্রয়াস চালাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশ। তারই মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এসেছে। দেখা যাচ্ছে চিন করোনাভাইরাস সম্পর্কে প্রাথমিকতম কয়েয়টি নমুনার জিনগত মেকআপের বিবরণ আমেরিকান ডেটাবেস থেকে সরিয়ে নিয়েছে। যেখানে চিনা গবেষকদের কাছে সেই তথ্যগুলি জমা দেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। প্রাদুর্ভাবের আর উৎস সম্পর্কে চিনের এই গোপনীয়তা নিয়ে যথেষ্টই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। ২০২০ সালে মার্চ মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সিকোয়েন্স রিড আর্কাইভে জমা দেওয়া তথ্যটি তিন মাস পরে জুনে একই গবেষক দ্বারা প্রত্যাহার করা করে নেওয়া হয়। গবেষক তাঁর প্রত্যাহারের আবেদন পত্রে জানিয়েছিলেন তথ্যের পরিবর্তন নতুন তথ্য় সংযুক্তকরণের জন্যই আগের তথ্য প্রত্যাহার করতে চান। বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটস একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, জেনেটিক সিকোয়েন্সগুলি চিনের উহান শহর থেকে এসেছিল। কোভিড ১৯এর আক্রান্ত আর সংক্রমণ প্রথম দিকে চিনের এই শহরেই বেশি করে পরিলক্ষিত হয়েছিল।
জরুরি অবস্থার ৪৬ বছর, 'কালো দিন' বলে কংগ্রেসের সমালোচনায় নরেন্দ্র মোদী আর অমিত শাহ ...
গবেষণাপত্র প্রত্যাহারের কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল সিকোয়েন্স তথ্য আপডেট করা আর অন্য একটি ডেটাবেস জমা দেওয়া হয়েছিল। সংরক্ষণ আর নিয়ন্ত্রণের সমস্যা এড়াতে ডেটাবেস অপসারণের জন্য বলা হয়েছিল। সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, গবেষকরা প্রয়োজনীয় ডেটা সেখানে রাখতে পারেন আর প্রয়োজনে তা প্রহ্যারও করে নিতে পারেন। এজাতীয় নীতি নিয়েই সংস্থাটি চলে। আর সেই কারণেই চিনা গবেষক তাঁর ইচ্ছেমত তথ্য সরিয়ে নিতে পেরেছেন।
লাদাখে সারমিক উত্তেজনা, চিনের ঘাড়ে দায়ে ঠেকিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি ভারতের ...
মার্কিন ডেটাবেস থেতে জেনেটিক সিকোয়েন্সের একাধিক তথ্য উধাওয় হওয়ায় উহানে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে আর কী কী রক্ষা করা হয়েছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মার্কিন ভাইলোরজিস্ট জেসি ব্লুম জানিয়েছেন, তিনি এই গবেষণা সম্পর্কে নিশ্চিত ছিলেন যে সপ্তাহের শুরুতেই সমস্ত তথ্য সরিয়ে নেওয়া হয়েছিলয তথ্য উদ্ধারকারী সংস্থা জানিয়েছে যে ভাইরাসটি কোথা থেকে কী ভাবে এসেছিল- সেসম্পর্কে কোনও নির্দিষ্ট বিবরণ পাওয়া যায়নি।
ক্রেতাদের পাতে 'কৃত্রিম' মুরগির মাংস, সিঙ্গাপুরের পর আরও একটি দেশ শুরু করল পরীক্ষা ...
বিশ্বের একাধিক দেশের পাশাপাশি রাজনীতিবিদ আর বিজ্ঞানীরা করোনাভাইরাসের উৎস সন্ধানে মরিয়া প্রয়াস চালাচ্ছেন। একটি দল দাবি করছে যে চিনের উহানের পরীক্ষাগারে তৈরি হয়েছে করোনার জীবাণু। জৈব অস্ত্র নিয়ে পরীক্ষা করার সময়ই তৈরি করা হয়েছে এজাতীয় জীবাণু। তবে তা মানতে নারাজ চিন। ক্ষমতায় আসার পরেই মার্কিন প্রেসডিন্ট জো বাইডেন দেশের তদন্তকারী সংস্থা, গোয়েন্দা আর বিজ্ঞানীদের করোনাভাইরাসের উৎস সন্ধানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত চালাতে হবে। বিশ্বের একাধিক দেশের চাপে পড়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও তাঁদের প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল চিনে। তবে সেই সময়ই একাধিক প্রতিকূলতা তৈরি করেছিল চিন। বেজিং তাঁদের প্রয়োজনীয় তথ্য দেয়নি। একই সঙ্গে বেশ কিছু এলাকায় গিয়ে তথ্য সংগ্রহে বাধাও দিয়েছিল।