উত্তমা সরকার, জলপাইগুড়ি: কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশকর্মী কি মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন? জাতীয় সড়কে পিক অ্যাপ ভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ গেল প্রাথমিক স্কুলের এক পড়ুয়ার। প্রতিবাদে পুলিশের বাইকে আগুন ধরিয়ে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ভাঙচুর চলল রাস্তায় দাঁড়িয়ে গাড়িতেও। রণক্ষেত্রের চেহারা নিল জলপাইগুড়ির বানারহাট।
আরও পড়ুন: বাথরুমে ঢুকে কিশোরীর 'শ্লীলতাহানির চেষ্টা', অভিযুক্তের মাথা কামিয়ে দিলেন স্থানীয়রা
ঘড়িতে তখন সকাল সাড়ে এগারোটা। বানারহাটে লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানের কাছে প্রাথমিক স্কুলের এক পড়ুয়া যখন জাতীয় সড়ক পার হচ্ছিল, তখন একটি পিকঅ্যাপ সজোরে তাঁকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মারা যায় ওই শিশুটি। এরপর পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। জাতীয় সড়ক অবরোধ করে শুরু বিক্ষোভ। খোদ বানারহাট থানার আইসি ঘটনাস্থলে গিয়েও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেননি। উল্টে বিক্ষোভের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, পুলিশের একটি মোটর বাইকের আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। অবরোধের কারণে রাস্তায় যেসব গাড়ি আটকে পড়েছিল, সেই গাড়িতেও চলে ভাঙচুর।
আরও পড়ুন: পাহাড় থেকে পিছলে পড়ে হাতির মৃত্যু, শোরগোল ডুয়ার্সে
পুলিশের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের কারণটা কী? দুর্ঘটনাস্থল থেকে কয়েক হাত দূরেই কিন্তু ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন ছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, যান নিয়ন্ত্রণ না করে দিনভর মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকেন ট্রাফিক সার্জেন্টরা। তার জেরেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর আগে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে দুর্ঘটনা কবলে পড়ে দু'জন স্কুল ছাত্র। পিছন থেকে গরুবোঝাই গাড়ির ধাক্কায় মারা যায় একজন, গুরুতর হয় অন্যজন। সেবারও স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। ঘাতক গাড়ি-সহ দুটি দুটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। ফের একই ঘটনা ঘটল, এবার বানারহাটে।