আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। এরপরেই কৈলাশ থেকে ছেলেপুলেদের নিয়ে বাপির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন 'মা'। শরতের মেঘলা আকাশ, শিউলি ফুলের গন্ধ জানান দিচ্ছে সে কথা। আর এরই মধ্যে নিজেদের নতুন নতুন চিন্তাভাবনা নিয়ে প্যান্ডেলের কাজ শুরু করেছে দুর্গা পুজো কমিটি এবং ক্লাবগুলি। কলকাতার পুজো মানেই থিমের দৌড়ে কে এগিয়ে কে পিছিয়ে। সেই থিমের ভাবনাকে মাথায় রেখে আবার নতুন থিমের চিন্তাভাবনায় গৌরি বেড়িয়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব ও প্রদর্শনী।
আরও পড়ুনঃ নাম লেখাননি এখনও, দেরি না করে অংশ নিন এশিয়ানেট নিউজ শারদ সম্মান ২০১৯-এ
বরাবরই কলকাতার সেরা পুজোর তালিকায় থাকে এই ক্লাব। তাদের মণ্ডপে আধুনিক চিন্তাভাবনা ও নতুনত্বের প্রয়োগ সর্বদাই মানুষের মনে আলাদাই জায়গা করে নিয়েছে। প্রতি বছরেই সমাজসেবী সংঘের প্যান্ডেলে ভরে যায় মানুষের ঢল। তবে শুধু তাই নয় ১৯৩৪ সাল থেকে কম্বল বিতরন, দুঃস্থ শিশুদের বস্ত্র বিতরনের মত অনেক সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে উত্তর কলকাতার এই ক্লাব।
অবশেষে ৮৫ পেরিয়ে ৮৬ তে পা গৌরি বেড়িয়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব ও প্রদর্শনী কমিটির। এবছর তাদের প্যান্ডেলের থিম 'ভিনদেশী তারা'। সন্তানই হল মা বাবার আসল সম্পদ। তবে সমাজে ভালো নম্বর, ভালো চাকরির প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রাখার জন্য তাঁরা ক্রমশ দূরে সরিয়ে চলেছেন নিজেদের সন্তানদের। ফলে ধীরে ধীরে সম্পর্কেও তৈরি হচ্ছে দুরত্ব। এই অসাধারন থিমটিকেই নিজেদের পুজোমণ্ডপে ফুটিয়ে তুলতে চলেছে এই ক্লাব।
আরও পড়ুনঃ মাতৃ আরাধনার পাশাপাশি গঙ্গা স্মরণে এবার বাঘাযতীন তরুণ সংঘ
গতবছরেও এক অসাধারন থিমের মাধ্যমে দর্শনার্থীদের আবেগতাড়িত করেছিল এই ক্লাব। গতবছর পুজোয় তাদের থিম ছিল 'রঙ্গমঞ্চ'। এই থিমের মাধ্যমে বাংলার হারিয়ে যাওয়া থিয়েটারকে তুলে ধরেছিল তাদের প্যান্ডেলের মধ্যে।
এই ক্লাবের ঠিকানা হল অরবিন্দ সেতু, স্কিম - ফাইভ এম, গৌরিবাড়ি, কলকাতা, ৭০০০০৪।