দক্ষিণ কলকাতার পূর্বালোকে তীব্র গরমে রাস্তায় পড়ে মৃত্য়ু যুবকের। রিক্সাচালকদের বক্তব্য, ওই যুবক প্রায়শই মদ খেয়ে নেশা করে পড়ে থাকত। তাই এদিনও হয়তো তেমনটাই হয়েছে। তবে শেষ রিক্সাচালকদের ভূল প্রমাণ করে দিয়ে আজ আর ওঠেনি ওই যুবক।
তীব্র গরমে রাস্তায় পড়ে মৃত্য়ু যুবকের। দক্ষিণ কলকাতার পূর্বালোকে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টোর সময়ে দক্ষিণ কলকাতার পূর্বালোকের কালীবাড়ির কাছে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। এদিন দুপুরেও শহরে তাপপ্রবাহ চলছিল। আর তার মাঝে আচমকাই পূর্বালোকের কালীবাড়ির কাছে ওই যুবককে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয় রিক্সা চালকদের অনেকেই ওই যুবককে ছটফট করতে দেখেন। কিন্তু তাঁদের ধারণা হয়, হয়তো ওই যুবক মদ্যপ অবস্থায় নেশার ঘোরে ওই রকম আচরণ করছে। হয়তো নেশা কাটলে ঠিক হয়ে যাবে। কারণ রিক্সাচালকদের বক্তব্য, ওই যুবক প্রায়শই মদ খেয়ে নেশা করে পড়ে থাকত। তাই এদিনও হয়তো তেমনটাই হয়েছে। তবে শেষ রিক্সাচালকদের ভূল প্রমাণ করে দিয়ে আজ আর ওঠেনি ওই যুবক। বৃহস্পতিবার দুপুরেই তার মৃত্যু হয়েছে।
তবে এখনও অবধিও মৃত যুবকের তেমন কোনও পরিচয় পাওয়া যায়নি। এক পুলিশ সার্জেন্ট যদিও বলেছেন, ওই যুবককে বেঞ্জা নামে চেনেন। কিন্তু তাঁর বাড়ি কোথায় জানেন না। তবে পূর্বালোকের এক বাসিন্দার দাবি, মৃত ওই যুবকের নাম বেঞ্জা নয়, খোকন। যদিও এখনও তার মৃত্যুর পরে পরিবাররে কোনও খবর পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্য়েই মৃত যুবকের পরিবারের খোঁজ চালানো শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, প্রচন্ড গরমেই অসুস্থ হয়ে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। ময়নাতদন্ত হলেওই মৃত্যু প্রকৃত কারণ উঠে আসবে। স্থানীয় এক পরিচারিকা জানিয়েছেন, বুধবার ওই যুবক মুকুন্দপুর বাজারের সামনে এক ট্যাক্সিচালকের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। তবে কী কারণে তিনি ওই বচসায় জড়িয়ে পড়েন, তা জানা যায়নি।
আরও পড়ুন, 'দুর্নীতিতে নাম জড়ালে কাউকেই ছাড়া হবে না', কড়া বার্তা মমতার
এদিকে যুবকের মৃত্যুর খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, যদি আগে বুঝতে পারতাম বা আগে জানতে পারতাম, তাহলে অন্তত একটা হাসপাতালে ভর্তি করে দেওয়া যেত। প্রাণে মারা পড়ত না ওই যুবক। তবে প্রতিদিন যেভাবে তাপপ্রবাহ বেড়ে চলছে, তা রীতিমতো উদ্বেগের। বেলা এগারোটা থেকে বিকেল চারটে অবধি শহরের রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা থাকছে। এই সময়টায় খুব দরকার না হলে কেউ বাইরে বেরোচ্ছেন না। তবুও হয়তো পেটের জ্বালাতেই বেরোতে হয়েছিল ওই যুবকের। কারণ তাঁকে বরাবর স্থানীয়রা ভ্যাট বা ময়লার গাড়ি থেকে পরিত্যাক্ত প্লাস্টিক, ইলেকট্রিক কেবল কুড়োতে দেখেছে। একই জানিয়েছেন স্থানীয় ওই পরিচারিকাও। হয়তো সেটাই ছিল ওই যুবকের পেশা। ওগুলি বিক্রি করেই দু পয়সা আসত। সাফ হতো এলাকাও। তবে বেঞ্জা হোক আর খোকন, আর তাঁকে কোনও দিন দেখতে পাবে না পূর্বালোক। সরকারি হিসেবে এখনও যদিও এখনও শহরে সানস্ট্রোকে একটাও মৃত্যু হয়নি। তবে বৈশাখের শুরুতে তীব্র দাবদাহের বলি হতে হল বছর ৩২-র ওই যুবককে।
আরও পড়ুন, তাপপ্রবাহের দাপটের মাঝেই সুখবর, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস