'আমি তো জীবন্ত প্রাণ, আমি এক অঙ্কুরিত বীজ'-একথা তাঁকেই মানায়। দরিদ্রতার সঙ্গে বড় হয়েছে বারুইপুরেই সৌরদীপ। না সুযোগ হয়েছে কোচিং এ পড়ার নাই বা সহজেই পেয়েছে ইন্টারনেট। তবুও সেসব পাহাড় পেরিয়ে সে আজ সফল সর্বভারতীয় মেডিক্য়াল প্রবেশিকায়। দু চোখ ভরে তাঁর স্বপ্ন, ডাক্তারি পড়ে ক্য়ানসার নিয়ে গবেষণা করা।
আরও পড়ুন, দুর্গা পুজোয় উপহার রাজ্যের প্রযুক্তিবিদদের, কী ঘোষণা করলেন মমতা
জানা গিয়েছে, দেশের ১৫ লক্ষ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে সে ৮৭৮৫ স্থান পেয়েছেন। মোট ৭২০ নাম্বারের মধ্য়ে পেয়েছেন ৬৩০। তবে সব বাধা পেরিয়ে সফলতার মুকুট মাকেই পরিয়েছেন। 'সব কৃতিত্ব মায়ের' বলেছেন সৌরদীপ। 'আমি পড়াকালীন মাই তো রাত জেগে বসে থাকত। আমার পড়াশোনার বরাবর নজর রাখত।' বলে গর্ব ভরে উঠল। দেশের 'আগামী' আরও জানাল, তাঁর বাবা কলকাতায় এক সার্জিক্য়াল সরঞ্জামের কারখানায় শ্রমিকের কাজ করে পান সাত হাজার টাকা। অতিরিক্ত কাজে কিছু বাড়তি মেলে। করোনায় বেতন গিয়েছে আরও কমে। ঘন্টা অনুযায়ী মেলে এখন টাকা। সপ্তাহে বাড়িতে আসেন একবারই' বলে চোখ ভিজে আসল কি, নাকি ডাক্তারি পড়ে সব যন্ত্রনা মুছে দেবে মা-বাবার থেকে, তাই 'সে কথা গোপন থাকাই ভাল'।
আরও পড়ুন, অক্সিজেন সাপোর্ট ছাড়াই রাতে ভাল ঘুম সৌমিত্র-র, আচ্ছন্ন ভাব কাটলেই মিলতে পারে ছুটি
অপরদিকে, সাউথ পয়েন্টের সায়ক বিশ্বাস ৭০৫ পেয়ে ৪৪ এ দাড়িয়ে। করোনা আতঙ্কে পরীক্ষা দিলেও সায়কের পরামর্শ সব ছাত্র-ছাত্রীদেরকে তালিকা বা কত নম্বরের পাওয়া যাবে এসব না ভেবে প্রতিটি বিষয়ে মনযোগ দিয়ে পড়লেই খুলে যাবে সর্বভারতীয় মেডিক্য়াল প্রবেশিকার পথ।