অনেক দিন আগেই সাংসদ পদ ছেড়ে দিতেন তিনি। আর তার জন্য এর আগে একাধিক বার চিঠি লিখে স্পিকারের সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু, তখন স্পিকার তাঁকে সময় দেননি। অবশেষে মঙ্গলবার বাবুলকে সময় দিয়েছেন স্পিকার।
বিজেপি (BJP) ছেড়ে দিয়েছেন অনেক দিন আগেই। কিন্তু, সাংসদ (MP) পদ এখনও ছাড়তে পারেননি। তবে এবার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা (resign) দিতে চলেছেন বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। ১৯ অক্টোবর অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালে দিল্লি (Delhi) গিয়ে স্পিকার ওম বিড়লার (Om Birla) কাছে ইস্তফা পত্র জমা দিতে চলেছেন তিনি। লোকসভা (Lok Sabha) সচিবালয় সূত্রে খবর, বাবুলকে সকাল ১১টায় সময় দিয়েছেন স্পিকার (Speaker)।
বাবুল আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি যাদের টিকিটে নির্বাচিত, সেই দল ছেড়ে অন্য দলে গিয়ে পুরোনো দলের সাংসদ পদ আঁকড়ে ধরে রাখা একেবারেই ঠিক নয়। এটা সম্পূর্ণ অনৈতিক কাজ। তবে অনেক দিন আগেই সাংসদ পদ ছেড়ে দিতেন তিনি। আর তার জন্য এর আগে একাধিক বার চিঠি লিখে স্পিকারের সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু, তখন স্পিকার তাঁকে সময় দেননি। অবশেষে মঙ্গলবার বাবুলকে সময় দিয়েছেন স্পিকার। রবিবার লোকসভা সচিবালয় সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, ১৯ অক্টোবর সকালে বাবুলকে সময় দেওয়া হয়েছে। সেই মতো ওইদিন দিল্লিতে গিয়ে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেবেন তিনি।
আরও পড়ুন- নবান্নের নির্দেশ, সৌন্দর্যায়নের জন্য ১০ কোটি টাকার আলোকসজ্জা মুর্শিদাবাদে
উল্লেখ্য, গতমাসে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। ওই দিন ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে বাবুল সুপ্রিয়র হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন ডেরেক ও'ব্রায়েনও। এদিকে বাবুল আসানসোলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর সেখানে এখন উপনির্বাচন কবে হয় সেটাই দেখার। কারণ লোকসভা ভোট হতে এখনও ৩ বছর বাকি রয়েছে। পাশাপাশি ওই এলাকায় বিজেপি ও তৃণমূলের তরফে কাদের প্রার্থী করা হয় সেটাও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া সেখানে বাম ও কংগ্রেস কোনও প্রার্থী দেয় কিনা সেই দিকেও সবার নজর থাকবে।
আরও পড়ুন- পুজো মিটতেই ডায়রিয়ার প্রকোপ বাঁকুড়ায়, আক্রান্ত ৮
আরও পড়ুন- উত্সবের মরশুমে জ্বালানির জ্বালায় জ্বলছে সাধারণ, আরও বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের দাম
উল্লেখ্য, ২০১৪ ও ২০১৯ সালে পরপর দু'বার আসানসোল থেকে জিতে সাংসদ হন বাবুল সুপ্রিয়। দু’বারই প্রতিমন্ত্রীও হন। কিন্তু, পূর্ণ মন্ত্রিত্ব পাওয়া হয়নি তাঁর। আর এবার মন্ত্রিত্বের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তা নিয়ে পোস্টও করেন। তখন থেকেই দলের সঙ্গে তাঁর অনেকটা দূরত্ব তৈরি হয়। তারপরই জুলাইয়ের শেষে রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন আসানসোলের সাংসদ। এমনকী, সাংসদ পদও ছেড়ে দেবেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, সেই সময় জেপি নাড্ডা ও অমিত শাহের অনুরোধে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেননি। তবে ইস্তফা না দিলেও সাংসদ হিসেবে আর কোনও সুবিধা নেবেন না বলে জানিয়ে ছিলেন। পাশাপাশি অন্য কোনও রাজনৈতিক দলেও যাচ্ছেন বলে জানান। এরপর ১৮ সেপ্টেম্বর তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। এক কথায় বাবুলের এই রাজনৈতিক জীবন রোলার কোস্টার যাত্রার থেকে কম কিছু নয়।