রাম মন্দির আন্দোলনে বাংলা থেকে রক্ত ঝরিয়েছিলেন দুই সন্তান

  • বিতর্কিত জমি রাম লালার রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট
  •  সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের জন্য ৫ একর বিকল্প জমির ব্য়বস্থা
  •  জানেন কি এই বাংলা থেকে রাম মন্দির আন্দোলেন প্রাণ দিয়েছিল দুই ভাই 
  • বড়বাজারের সেই কোঠারি ভাইদের খবর অনেকেরই অজানা
     

Asianet News Bangla | Published : Nov 9, 2019 8:04 AM IST


বিতর্কিত জমি রাম লালার, শনিবার এমনই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের  জন্য ৫ একর বিকল্প জমির ব্য়বস্থাও করা হয়েছে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী অযোধ্যায় তৈরি হবে  রাম মন্দির। জানেন কি এই বাংলা থেকে রাম মন্দির আন্দোলেন প্রাণ দিয়েছিল দুই ভাই। বড়বাজারের সেই কোঠারি ভাইদের খবর অনেকেরই অজানা।

অন্যদের মতো আরএসএস-এর সদস্য ছিলেন বড়বাজারের বাসিন্দা রাম ও শরদ কোঠারি। ১৯৯০ সালের সেপ্টেম্বরে রাম মন্দির আন্দোলনে সামিল হতে যাত্রার ঢাক দেয বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। গুজরাতের সোমনাথ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়ার কথা ছিল সেই যাত্রার। বিশ্ব হিন্দু পরিষেদের এই যাত্রাকে সমর্থন করেন তৎকালীন বিজেপির  ওজনদার নেতা লালকৃষ্ণ আডবানি। প্রতিদিন ৩০০ কিলোমিটার রথ যাত্রা করার কথা বলেন তিনি। প্রতিদিন ৬টা সভা করার কথা ছিল আডবানির। 

সেই সময় বাংলা থেকে রাম মন্দির আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কথা বলেন ২২ ও ২০ বছরের দুই যুবক। দুই ছেলের অযোধ্য়া যাওয়ার কথা শুনে চমকে যান বাবা হীরালাল কোঠারি। দুই সপ্তাহের মধ্য়েই মেয়ে পূর্ণিমার বিয়ে হওয়ার কথা। ডিসেম্বরের প্রথমেই ছিল বিয়ের দিনক্ষণ। তাই দুই ছেলের মধ্য়ে অন্তত একজনকে থেকে যেতে বলেন বাবা। কিন্তু ২২ অক্টোবর কর সেবার জন্য অযোধ্যার ট্রেনে ওঠেন দুই ভাই। পরে বিতর্কিত জমি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে হনুমানগড়ির কাছে জড় হতে শুরু করেন কর সেবকরা। এই দলেই নেতৃত্ব দিয়েছিল কোঠারি ভাইরা। 

সেই সময় করসেবকদের  রাস্তা আটকায় পুলিশ। পুলিশের কথা শুনে রাস্তায় ভজন শুরু করে করসেবকরা। সঙ্গে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে এগোতে থাকে কেউ কেউ। হঠাৎ ধীর গতির মিছিল থেকে পুলিশের ওপর চড়াও হন বেশ কয়েকজন। অভিযোগ,এরপরই প্রায় ৪৫ মিনিট এলোপাথারি গুলি চালায় পুলিশ। যাতে প্রাণ হারান ১৬জন কর সেবক। পরে একটা সরু গলি থেকে উদ্বার হয় শরদ ও রাম কোঠারির দেহ। রাম মন্দির আন্দোলনের বাংলার  দুই সন্তান এখন ফের চর্চায়।         

Share this article
click me!