প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে টেট পরীক্ষায় পার্শ্ব শিক্ষকদের ১০ শতাংশ সংরক্ষণ থাকা সত্ত্বেও নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ। তদন্তের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে চিঠি লিখলেন পার্শ্বশিক্ষক ভগীরথ ঘোষ।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে টেট পরীক্ষায় পার্শ্ব শিক্ষকদের ১০ শতাংশ সংরক্ষণ থাকা সত্ত্বেও নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ। তদন্তের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে চিঠি লিখলেন পার্শ্বশিক্ষক ভগীরথ ঘোষ। উল্লেখ্য শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ ইতিমধ্যেই রাজ্যে প্রকাশ্যে এসেছে।নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যেই নাম জড়িয়েছে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর। দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে অঙ্কিতা অধিকারীকে। নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ্য চট্টোপাধ্যায়েরও। তবে এবার ২০১২ সাল এবং ২০১৪ (১৫) সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টকে তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন পার্শ্বশিক্ষক ভগীরথ ঘোষ। পাশাপাশি তিনি সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থার ইস্ট জোনের অধিকর্তা ( জয়েন্ট ডিরেক্টর ) হচ্ছেন এন বেণুগোপালকেও চিঠি দিয়েছেন তিনি। এশিয়ানেট নিউজ বাংলার একান্ত সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন পার্শ্বশিক্ষক ভগীরথ ঘোষ।
নদিয়ার চাপড়া ব্লকের বাসিন্দা ভগীরথ ঘোষ হাইকোর্টকে লেখা চিঠিতে জানিয়েছেন, 'আমাদের রাজ্যে ২০১২ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে টেট পরীক্ষা নেওয়া হয়। পাশাপাশি ২০১৫ সালেও প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে টেট পরীক্ষা নেওয়া হয়। দুটি টেট পরীক্ষাতেই পার্শ্ব শিক্ষকদের ১০ শতাংশ সংরক্ষণ ছিল। কিন্তু উভয় ক্ষেত্রেই তা সম্পূর্ণভাবে কার্যকর করা হয়নি। দুটি ক্ষেত্রেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ছিল।' এরপরেই হাইকোর্টের প্রধানবিচারপতিকে অনুরোধ জানিয়ে লেখেন, আপনার কাছে আমার বিনীত আবেদন, আপনি শিক্ষার স্বার্থে শিক্ষার নিয়োগের সুযোগের ব্যবস্থা করে ওই পার্শ্বশিক্ষকদের অভিশাপ মুক্ত করুন।'
পার্শ্বশিক্ষক ভগীরথ ঘোষ এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে জানিয়েছেন, 'প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে টেট পরীক্ষায় পার্শ্ব শিক্ষকদের ১০ শতাংশ সংরক্ষণ ছিল। কিন্তু তা থাকা সত্ত্বেও নিয়োগে অনিয়ম হয়। ২০১২ সাল এবং ২০১৪ (১৫) সালের ইস্যু টেনে তিনি ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে তদন্তের আবেদন করেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, শুধু কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকেই নয়, পাশাপাশি তিনি সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থার ইস্ট জোনের অধিকর্তা ( জয়েন্ট ডিরেক্টর ) হচ্ছেন এন বেণুগোপালকেও চিঠি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, শিক্ষক দেশের ভবিষ্যত অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের গড়ে। তাই শিক্ষক নিয়োগে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা থাকা বাঞ্চনীয়। সেখানে যেনও মেধাই সর্বোচ্চ প্রাধান্য পায়', বলে জানিয়েছেনতিনি।
আরও পড়ুন, ১০৪ ঘন্টা ৮০ ফুট কুয়োর নীচে সাপ-ব্যাঙের সঙ্গে বিস্ময় বালক, রাহলকে উদ্ধার করল এনডিআরএফ
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যেই নাম জড়িয়েছে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর। দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে অঙ্কিতা অধিকারীকে। এতদিন অবধি তিনি যে বেতন পেয়েছেন, তা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। দুই দফায় তা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দিতে হবে জানানো হয়েছে। এরপরে পরেই এসএসসিতে ফের নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে সিদ্দি গাজি নামে এবার এক কর্মরত অঙ্কের শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার। এসএলএসটি নবম এবং দশম শ্রেণির অঙ্কের শিক্ষক হিসেবে চাকরি পেয়েছিলেন সিদ্দি গাজী। কিন্তু মামলাকারী অনুপ গুপ্তার অভিযোগ, তার থেকে অনেক পরে নাম ছিল সিদ্দি গাজীর।তালিকায় তার থেকে ৭৫ জনের পরে নাম ছিল সিদ্দি গাজীর। অথচ তাঁকেই চাকরি দেওয়া হয়ে, বলে গুরুতর অভিযোগ ওঠে। একের পর এক অভিযোগ উঠলেও, এই মুহূর্তে এসএসসি মামলা কড়া হাতে সামলাচ্ছে কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন, ভারত পোলিয়ো মুক্ত নয় ? পোলিয়ো-র জীবাণু মিলল কলকাতায়