চিটফান্ড তদন্তে আরও সক্রিয় হল সিবিআই। সম্প্রতি কলকাতার দায়িত্বপ্রাপ্ত জয়েন্ট ডিরেক্টর ঋষিকুমার শুক্লাকে,তদন্তের সমস্ত নথিপত্র ও বিস্তারিত তথ্য়ের সঙ্গে দিল্লির সিবিআই সদর দপ্তরে ডেকে পাঠানো হয়েছে। বিশেষ সূত্রের খবর সারদা ও রোজভ্য়ালি কেলেঙ্কারির তদন্তে আরও বেশী জোর দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন, ইংরেজিতে পড়াশোনায় অসুবিধা, হতাশায় আত্মঘাতি হলেন শহরের নার্সিং পড়ুয়া
মোদি সরকার দ্বিতীয়বার প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর, একটা আশার আলো দেখা গিয়েছিল যে চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্তের মোড় ঘুরবে। সেইমতই প্রস্তুতিও নিয়েছিল কেন্দ্রিয় তদন্তকারী সংস্থা। কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকেও নিজের হেফাজতে নেওয়ার খুব চেষ্টা করেছিল সিবিআই আধিকারিকরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করেনি সিবিআই। পাশাপাশি, সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে দয়মন্তী সেনের মত বড় মাপের ভূমিকা নেওয়া একাধিক পুলিশ কর্তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এছাড়াও জেরা করা হয় একাধিক প্রথম সারির নেতা-নেত্রীকে।
আরও পড়ুন, শহরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শব্দ দৈত্য, ডিসিপি নিয়োগের নির্দেশ এনজিটি-র
স্বভাবতই এত কিছুর পরও মাঝে সাত-আট বছর কেটে গেলেও কোনও কেলেঙ্কারিরই তেমন কিনারা মেলেনি। প্রশ্ন উঠেছে সিবিআই-এর ক্ষমতা নিয়েও। বিশেষ করে বিরোধি রাজনৈতিক দল কেন্দ্রিয় তদন্তকারী সংস্থার দক্ষতা নিয়ে সরব হয়েছে। কিন্তু গত মে মাসে দ্বিতীয়বার মোদি সরকার কেন্দ্রে আসার পর, চিটফান্ড তদন্তে আরও সক্রিয় হয় সিবিআই। যত দ্রুত সম্ভব এই তদন্তের সমাধান করতে চায় মোদি সরকার। আর সেই জন্য়ই কলকাতার দায়িত্বপ্রাপ্ত জয়েন্ট ডিরেক্টর ঋষিকুমার শুক্লাকে দিল্লির সিবিআই সদর দপ্তরে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তবে তিনি কবে সেই বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেবেন, তা এখনও জানা যায়নি।