এবার পার্ক সার্কাসের নার্সিংহোমে ধরা পড়ল করোনা রোগী। নার্সিংহোমের তরফে দাবি করা হয়েছে,শনিবার রাতেই ওই রোগীর করোনা সংক্রমণের রিপোর্ট হাতে পায় নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ। তড়িঘডি় তাকে স্থানান্তরিত করা হয় এম আর বাঙুর হাসপাতালে। জানা গিয়েছে,ওই রোগীর বয়স ৮০ বছর। তাই রোগীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তায় নার্সিং হোম।
কমপ্লিট লকডাউন হচ্ছে না, রাজ্য়ে হটস্পট-এর বদলে 'মাইক্রো প্ল্যানিং'
এদিকে রোগীর করোনা পজিটিভের খবর সামনে আসতেই দ্রুত আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে তিন চিকিৎসককে। এদের সঙ্গে ওই রোগীর সংস্পর্সে আসা দুই নার্সকেও আলাদা থকাতে বলা হয়েছে। সব মিলিয়ে রোগীর কাছে আসা মোট ৮জনকে নার্সিং হোমের তরফে আইসোলেশনে পাঠানা হয়েছে। ইতিমধ্য়েই সিল করে দেওয়া হয়েছে একটি আইসিইউ।
লকডাউন ভাঙছে 'মমতার সরকার', রাজ্য়কে কড়া চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের.
রাজ্য়ের সাম্প্রতিক করোনা চিত্র বলছে,বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য় মন্ত্রকের পরিসাংখ্য়ান বলছে ১২৬। অথচ শনিবার বিকেলে নবান্নে মুখ্য়মন্ত্রী জানালেন রাজ্য়ে নতুন করে ৬ জনের শরীরে করোনা পাওয়া গিয়েছে। সব মিলিয়ে রাজ্য়ে এখন করোনা আক্রান্তের সংখ্য়াটা ৯৫।
লকডাউনে গিজ গিজ করছে মানুষ, হাওড়া ফুল মার্কেটে ভয়াবহ দৃশ্য়..
এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য় মন্ত্রকের বুলেটিনে বলা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ১২৬ জন আক্রান্ত হলেও ১৬ জন ইতিমধ্য়েই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। মৃতের সংখ্য়া ৫ জন। যদিও মুখ্য়মন্ত্রীর পরিসংখ্যানের সঙ্গে মিলছে না এই সংখ্যা। সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যে করোনা আক্রান্তের মোট ৯৫ জনের মধ্যে ৭০ জনই ১৬টি পরিবারের সদস্য। বর্তমানে রাজ্যে ৪৪,০০০ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রয়েছেন ৫০০০ জন। করোনা মোকাবিলায় ৩টি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে রাজ্য সরকার।
এই বলেই অবশ্য় থেমে থাকেননি মুখ্য়মন্ত্রী, করোনো আতঙ্কে বাড়ানো হচ্ছে স্কুল কলেজের পঠন পাঠনের সময়সীমা। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত রাজ্যে বন্ধ থাকছে সমস্ত স্কুল-কলেজ। শনিবার নবান্নে এই ঘোষণা করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। তিনি বলেন,অনলাইনে যেভাবে পড়াশোনা হচ্ছে সেভাবেই চলবে। যেহেতু লকডাউন ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে তাই আগামী ১০ জুন পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্টানগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সামান্য় কদিনের জন্য় স্কুল খুলে ফের গরমের ছুটিতে যাওয়ার দরকার নেই। একেবারে গরমের ছুটি পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আপাতত ক্লাস ফাইভ থেকে ক্লাস এইট পর্যন্ত সব শ্রেণির পড়ুয়াদের পাশা করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানোর কথা বলেছেন। আমরাও সেই প্রস্তাবে সম্মত হয়েছি। সেই মতো রাজ্যেও লকডাউন চলবে। সবাইকে বলছি লকডাউন মেনে চলুন। তবে পুলিশকে লকডাউন সামলাতে কড়াকড়ি করতে বললেও বাড়াবাড়ি না করার কথা বলেছেন মমতা। অতীতে দেখা গিয়েছে, কথা না শুনেই রাস্তায় লকডাউনে কাউকে দেখলেই অনেক ক্ষেত্রে লাটি চার্জ করেছে পুলিশ।