রাত ৯টা ১০ মিনিটেই কি ফিরবে আলো, রয়েছে অন্ধকারে কাটানোর আশঙ্কাও, জানুন বিস্তারিত

  •   লকডাউনের জেরে এমনিতেই বিদ্যুতের চাহিদা অনেকটা কমে গিয়েছে 
  •  তাই রাত ৯টায় আলো নেভানোতে আচমকা বিদ্যুতের চাহিদা  কমে যাবে 
  •  আবার বিদ্যুৎ সরবরাহ বৃদ্ধিতে ভোল্টেজও বেড়ে ফ্রিকোয়েন্সিও কমবে 
  • তাই গ্রিডে চাপ পড়লে সময়মত বিদ্যুৎ পুনরায় চালু করা নাও যেতে পারে   

Ritam Talukder | Published : Apr 5, 2020 6:22 AM IST

রাজ্য় তথা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া ক্রমেই বাড়ছে। করোনা রুখতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নির্দেশ দিয়েছেন, রবিবার রাত ৯টায় ৯ মিনিটের জন্য  আলো নিভিয়ে দিয়ে বারান্দায় বা দরজায় দাঁড়িয়ে প্রদীপ, মোমবাতি, টর্চ বা মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট জ্বালাতে হবে। কিন্তু  শুধু ৯ মিনিটের জন্যই নয়, বরং রাত ৯টার আগে বা ৯টা বেজে ৯ মিনিটের পরেও বেশ কিছুটা সময় অন্ধকারে কাটাতে হতে পারে। 

আরও পড়ুন, করোনা মোকাবিলায় বিপুল খরচ, নতুন নিয়োগ বন্ধের সিদ্ধান্ত রাজ্যের

রাজ্য়ে তথা দেশে লকডাউনের জেরে এমনিতেই বিদ্যুতের চাহিদা একধাক্কায় অনেকটা কমে গিয়েছে। তার উপর রবিবার দেশের সর্বত্র বসত বাড়ির আলো নেভানো হলে, গার্হস্থ্য বিদ্যুতের (ডোমেস্টিক) চাহিদাও আচমকা অনেকটাই কমে যাবে।উৎপাদনকেন্দ্র থেকে গ্রাহকের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার যে পারস্পরিক সংযুক্ত প্রযুক্তি, তাকেই গ্রিড বলা হয়।বিদ্যুতের ঘাটতি পূরণ এবং পারস্পরিক নির্ভরশীলতা বাড়াতে ভারতের প্রতিটি রাজ্যের গ্রিডই প্রতিবেশী রাজ্যের গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত। এর মধ্যে কোনও একটি বসে গেলে, তার সঙ্গে সংযুক্ত বাকি গ্রিডগুলিও একের পর এক বসে যেতে পারে।

আরও পড়ুন, 'জনসংখ্য়ার অনুপাতে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া অনেক কম', অভয় বার্তা দিলেন চিকিৎসক কুনাল সরকার

 অপরদিকে, তাই রাত ৯টায় যখন  আলো নেভানো হবে, আচমকা বিদ্যুতের চাহিদা অনেকটাই কমে যাবে। তাতে ফ্রিকোয়েন্সি একধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যাবে। এর ফলে পাওয়ার গ্রিডের উপর যাতে কোনও চাপ না পড়ে, তার জন্য ৯টা বাজার কিছুটা সময় আগেই ধাপে ধাপে লোডশেডিং করতে হতে পারে। একই কারণে ৯টা বেজে ৯মিনিটেই বিদ্যুৎ পুনরায় চালু করা না-ও যেতে পারে। সেখানে কিছুটা সময়ও লাগতে পারে।  গ্রিডের স্থিতিশীলতাও নষ্ট হতে পারে। তাই বিদ্যুৎ আস্তে আস্তে ফিরিয়ে আনতে হবে।  তাই গ্রিডের স্থিতিশীলতা নষ্ট না করে ধাপে ধাপে বিদ্যুৎ পুনরায় ফিরিয়ে আনার কাজটা করা হবে। উল্লেখ্য়, ২০১২-র জুলাই মাসেও দেশ জুড়ে ব্ল্যাকআউট ঘটেছিল। সেইসময় নর্দার্ন গ্রিডে বিদ্যুতের চাহিদা আচমকা বেড়ে যাওয়ায় বাকি গ্রিডগুলির উপর চাপ বেড়ে গিয়েছিল। তাদের প্রতিরক্ষামূলক যন্ত্রপাতি (আন্ডার ফ্রিকোয়েন্সি রিলে)-গুলিও খারাপ হয়ে পড়ায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
 

 

 রাজ্য়ে করোনায় আক্রান্ত এবার এক নার্স, পরিবারকে কোয়ারেনটাইনে থাকার নির্দেশ স্বাস্থ্য দফতরের

করোনা আক্রান্তদের এমআর বাঙ্গুরে স্থানান্তর ঘিরে তুলকালাম, অভিযোগ নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে নার্সরা

পাঁচিল টপকালেই ভাইরাস এক্সপার্ট সেন্টার, তবুও মুখ ফিরিয়ে মেডিক্য়াল কলেজ

Share this article
click me!