ঘূর্ণীঝড়ের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত রাজ্যের অধিকাংশ সাবস্টেশন, এখনও বহু জায়গায় ফেরেনি বিদ্যুৎ পরিষেবা

 

  • ঘূর্ণীঝড় আমফানের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত বাংলা, এখনও বহু জায়গায় নেই বিদ্যুৎ-ইন্টারনেট 
  •  রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী,  রাজ্যের ৬০ শতাংশ সাবস্টেশন বিপর্যস্ত  
  •  স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে এক সপ্তাহ লাগবে জানিয়েছেন, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম 
  • যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের প্রায় ২০ হাজার কর্মীরা কাজ করছেন 
     

Ritam Talukder | Published : May 23, 2020 5:02 AM IST / Updated: May 23 2020, 10:36 AM IST


ঘূর্ণীঝড় আমফানের তাণ্ডবে  বিপর্যস্ত বাংলা। এখনও বহু জায়গায় নেই বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট। রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে রাজ্যের ৬০ শতাংশ সাবস্টেশন বিপর্যস্ত। শহরে পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য় এক সপ্তাহ লাগবে বলে জানিয়েছেন, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

আরও পড়ুন, ঘূর্ণীঝড় আমফানের থাবা শহরের ৩০০টি রেশন ঘরে, ক্ষতিগ্রস্থ ৯০ কোটির খাদ্য়সামগ্রী

রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়ের থাবায় রাজ্যের ৬০ শতাংশ সাবস্টেশন বিপর্যস্ত। বুধবারে ঘূর্ণীঝড় হবার পর শনিবার এলেও কার্যত রাজ্যের পাঁচটি জেলায় বিদ্যুৎ পরিষেবা অসুবিধার মুখে।এর মধ্যে  কলকাতাও রয়েছে যথেষ্ট খারাপ পরিস্থিতিতে। অপরদিকে রাজ্য়ের বাকি জেলাগুলি হল উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি। এই ৫ জেলায় ভয়ঙ্কর ভাবে বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা। তবে নদিয়া, দুই মেদিনীপুর, মালদহ, বীরভূম সহ একাধিক জেলায় বিদ্য়ুৎ পরিষেবা আংশিকভাবে ব্যাহত হয়েছে।

আরও পড়ুন, আমফানের তাণ্ডবে মৃত বেড়ে ৮৬, আজ বিধ্বস্ত দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় মুখ্যমন্ত্রী

শুক্রবার রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন,ঘূর্ণীঝড় আমফানের তাণ্ডবে রাজ্য়ের বিপর্যস্ত এলাকার ২৩৫টি সাবস্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত। যেগুলির মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১৪৯টি সক্রিয় করা সম্ভব হয়েছে। চেষ্টা করা হচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যুৎ ফেরানো যায়। তিনি আরও জানিয়েছেন, রাজ্যের ১ কোটি গ্রাহকের বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। তবে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের  প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার কর্মীরা কাজ করছেন।
 

Share this article
click me!