নম্বর পেয়েছেন কম। এমনকী প্যানেল তালিকাতেও নাম রয়েছে অনেকটাই পিছনের দিকে। অথচ বেশি নম্বরধারীদের টপকে চাকরির নিয়োগপত্র পেয়ে গেলেন ৪০ জন প্রার্থী। কোন জাদুবলে এই 'রাজকার্য হল' তা জানাতে চেয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের(এসএসসি) কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট।
শ্মশানের বাতাসের জেরে বাসা বদল, কলকাতার ঘুম কাড়ছে কেওড়াতলা
এ যেন পিছনের দিক দিয়ে প্রথম হওয়ার সমান। প্যানেলে আগে নাম থাকা সত্ত্বেও তাঁরা চলে গেলেন পিছনের সারিতে। আর পিছনের সারির লোকরা চলে এলেন সামনে। যোগ্যতা কম থাকা সত্ত্বেও বাগিয়ে নিলেন চাকরির নিয়োগপত্র। যা দেখে অবাক হয়েছেন চাকরি প্রার্থীরা। তবে চুপ করে বসে না থেকে সরাসরি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। এরকমই মামনি বসাক, ফাল্গুনী রক্ষিতের আবেদনের ভিত্তিতে এসএসসি-র বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে মামলা। কী করে উপযুক্ত যোগ্যতার মাপকাঠি না থাকা সত্ত্বেওে ৪০ জনকে স্কুল সার্ভিস কমিশন চাকরি দিল তা জানতে চেয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে এসএসসি'কে।
পারদ নামবে ১৬ এর নিচে, আসছে ঠান্ডা কাঁপুনি
সোমবার এই মামলা হাইকোর্টে উঠলে মামলাকারীদের আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরী বলেন, বাংলা, ইংরেজি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইতিহাস ও অঙ্ক বিষয়ে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে ১৬ হাজার শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য এসএসসি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল। প্রায় ৮ লক্ষ প্রার্থী ২০১৬ সালে চাকরির জন্য লিখিত পরীক্ষা দেন। কিন্তু কয়েকজন প্রার্থী স্কুল নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীন জানতে পারেন, বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় ৪০ জন প্রার্থীকে নিয়োগ করা হয়েছে।
অভিযোগকারীদের দাবি, এদের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর অনেকটাই কম। প্যানেলের তালিকার বিচারেও পিছনের দিকে নাম ছিল এই নিয়োগপত্র লাভকারীদের। চতুর্থ কাউন্সিলিংয়ে এসে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে ওই ৪০ জনকে। মামনি, ফাল্গুনী সহ মামলাকারী প্রার্থীদের নাম তালিকার ওপর দিকে থাকা সত্ত্বেও তাঁদের চাকরির শিঁকে ছেঁড়েনি। প্রাপ্ত নম্বরও বেশি থাকায় সত্ত্বেও কম নম্বরের প্রার্থীরা কী করে নিয়োগ পেলেন, এদিন সেই প্রশ্ন করেছেন অভিযোগকারীদের আইনজীবী। যার প্ররিপ্রেক্ষিতে আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে রিপোর্ট দিয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ।