কোয়ারেন্টাইন সেন্টার গড়লেন পেশায় ক্যাবচালক সইদুল, চোখে যে একরাশ স্বপ্ন করোনা মুক্ত শহর দেখার
এবার করোনা মোকাবিলায় এগিয়ে ক্যাব চালক সইদুল
কষ্টের উপার্জনে গড়ে তুলেছিলেন একটি হাসপাতাল
এবার সেই হাসপাতালেই খুলেছেন কোয়েরেন্টাইন সেন্টার
রাজ্য় সরকারের অনুমতি পাবার অপেক্ষায় দিন গুনছেন তিনি
Ritam Talukder | Published : Apr 12, 2020 8:20 AM IST / Updated: Apr 12 2020, 02:02 PM IST
করোনা রুখতে খুঁজে পাওয়া গেল আরও এক মানবিক মুখ। এবার করোনা মোকাবিলায় এগিয়ে ক্যাব চালক মহম্মদ সইদুল লস্কর। নিজের কষ্টের উপার্জন থেকে কেনা ৪ ট্যাক্সি এবং স্ত্রীর গয়না বিক্রি করে দক্ষিণ কলকাতায় গড়ে তুলেছিলেন একটি হাসপাতাল। এবার সেই হাসপাতালেই খুলেছেন কোয়েরেন্টাইন সেন্টার। শুধু রাজ্য় সরকারের অনুমতি পাবার অপেক্ষায় দিন গুনছেন তিনি। বোনকে হারিয়েছেন তিনি। বুকে যে অনেক কষ্টে জমে আছে। তাই চোখে একরাশ স্বপ্ন নিয়ে শহরটাকে আগের মতই ফিরে পেতে চান পেশায় ক্যাবচালক সইদুল।
জানা গিয়েছে, ওই হাসপাতালে মোট ৫০টি শয্যা রয়েছে। সেখানেই তিনি খুলেছেন কোয়েরেন্টাইন সেন্টার। তাই করোনা মোকাবিলায় সবসময় রাজ্যের পাশে থাকতে চান তিনি। ইতিমধ্য়েই এই বার্তা দিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, সরকার অনুমতি দিলে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতাল ব্যবহার করা যেতে পারে। উল্লেখ্য়, ২০০৪ সালে নিউমোনিয়ায় মারা যান সইদুলের ছোট বোন মারুফা। তারপরেই এই হাসপাতাল তৈরির সিদ্ধান্ত নেন ক্যাবচালক সইদুল। প্রতিদিন আউটডোর ও এমার্জেন্সি বিভাগ মিলিয়ে ২৫০ থেকে ৩০০ রোগী আসেন এই হাসপাতালে। সবমিলিয়ে ৬ থেকে ৭ জন চিকিৎসক উপস্থিত থাকেন। আগে এখানে বিনামূল্য়ে চিকিৎসা করা হত। ২০১৯ সাল থেকে ২০ টাকা করে প্রবেশ মূল্য় নেওয়া হয়। তবে এখানে আসা রোগী ওষুধ পান সম্পূর্ণ বিনামূল্য়ে, জানালেন সইদুল।
অপরদিকে, ইতিমধ্যেই এই প্রস্তাব নিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর ও মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে, জানালেন পেশায় ক্যাবচালক সইদুল। তবে শুধু হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি করাই নয়, করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে পাঁচ হাজার টাকাও দান করেছেন তিনি। এছাড়াও সইদুল জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী অনুমতি দিলে এই হাসপাতালে ১০ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে নিয়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রশিক্ষণ শিবির খুলতে চান।