এবছর প্রতিমা নিরঞ্জনের প্রস্তুতি প্রায় সেরেই ফেলেছে কলকাতা পুরসভা। পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবছর প্রতি ঘাটে থাকবে ক্রেন। থাকবে স্বেচ্ছাসেবক, স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিনিধি দল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির ঠাকুর বিসর্জন হয় প্রতি বছর। তাই তারা সকাল থেকেই প্রস্তুত।
আর কয়েক মুহূর্তের অপেক্ষা। তারপরই চোখের জলে মা-কে বিদায় জানানোর পালা। আবার শুরু হবে এক বছরের প্রতীক্ষা। প্রতি বছর দশমীর দিন মা কৈলাসে রওনা হন। এই দিন পুজোর শেষ দিন। পুজো শেষে ঠাকুর বিসর্জন করা হয় গঙ্গায়। দুর্গোৎসবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল প্রতিমা নিরঞ্জন। এবছর প্রতিমা নিরঞ্জনের প্রস্তুতি প্রায় সেরেই ফেলেছে কলকাতা পুরসভা। পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবছর প্রতি ঘাটে থাকবে ক্রেন। থাকবে স্বেচ্ছাসেবক, স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিনিধি দল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির ঠাকুর বিসর্জন হয় প্রতি বছর। তাই তারা সকাল থেকেই প্রস্তুত। গঙ্গা যাতে দূষিত না হয়, তাই প্রতিমা জলে পড়লেই তা তুলে নেওয়া হবে। সে কারণে সব ঘাটেই আছে ক্রেন। অন্যদিকে, ফুল, বেলপাতা, মালা-র মতো কোনও সামগ্রী ফেলা যাবে না বলে জানানো হয়েছে। এমন নির্দেশিকা ঝুলিয়ে দিয়েছে সমস্ত ঘাটে।
কলকাতার পুরসভার পক্ষ থেকে মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, অভিজ্ঞতা থেকেই বলতে পারি দশমীর দিন বেশিরভাগ বাড়ির ঠাকুর বিসর্জন হয়। কিছু ছোট পুজোর প্রতিমা বিসর্জনও হয়। তিনি জানান সব ঘাটে তাদের লোক থাকবে। দশমীতে ১০০০ থেকে ১২০০ মতো ঠাকুর বিসর্জন হতে পারে, এমন ভেবেই প্রস্তুতি নিয়েছে তারা।
বিসর্জনের দিন দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা তাদের কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। প্রতি বছর গঙ্গা-কে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য প্রস্তুতি নেন তারা। এবছরও তার অন্যথা হল না। এবছর বুধবার অর্থাৎ দশমীর দিন সকাল থেকে ১৬টি ঘাটে ক্রেন, স্বেচ্ছাসেবক, স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিনিধি দল থাকবে। এই ১৬টি ঘাটে এবছর নিরঞ্জন হবে। নবমীর দিন থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছেন কলকাতা পুরসভা। এই প্রস্তুতি এখন শেষের পথে। এর আগেই গঙ্গাকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে নানারকন উদ্যোগ নিয়ে দেখা গিয়েছে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে। বিসর্জনের দিন গঙ্গা মাত্রাতিরিক্ত দূষণ হয়। আর গঙ্গাকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা কার আমাদের সকলের কর্তব্য। সেই মহৎ দায়িত্ব পালনে প্রতি বছর কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়ে থাকে। এবছর তারা ঠিক করছেন, প্রতিমা জলে পড়লেই তৎক্ষণাত তুলে নেবেন। এতে দূষণের সম্ভাবনা কম হবে। তেমনই ফুল, মালা ও অন্যান্য পুজো সামগ্রী যাতে কেউ গঙ্গায় না ফেলে সেবিষয় নেওয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ।
আরও পড়ুন- মায়ের বিদায়ে কাঁদবে আকাশ, বিজয়া দশমীতে বৃষ্টির ভ্রুকূটি রাজ্য জুড়ে
আরও পড়ুন- ৩ দিনে ৫০টা ঠাকুর উদ্বোধনের পরিকল্পনা, পুজো এভাবেই কাটাচ্ছেন বিধায়ক দেবাশীষ কুমার