সাড়া দেশেই যাতায়াতের সময় ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ কমাতে মাঝারি দূরত্বের প্যাসেঞ্জার ট্রেনগুলিকে মেমু-তে(মেন লাইন ইলেকট্রিক্যাল মাল্টিপল ইউনিট) পরিবর্তন কথা ভাবছিল ভারতীয় রেল। এবার তাই নতুন মাত্রায় বাস্তবায়িত হতে শুরু করেছে একাধিক শাখায়।
আরামদায়ক পরিষেবা ও যাত্রী পরিবহনের খরচ কমাতে দীর্ঘদিন থেকেই একাধিক নিত্যনতুন পরিকল্পনা করে আসছে ভারতীয় রেল। এমতাবস্থায় যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের উপর নতুন করে জোর দিতে নয়া কোচ নিয়ে এল ভারতীয় রেল(Indian Railway)। চেন্নাইয়ের কপুরথালাতে তৈরি হওয়া এই মেমু সেট আগামীদিনে হাওড়া-শিয়ালদহ-আসানসোল ডিভিশনে(Howrah-Sealdah-Asansol division) চালানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসাথে এই নয়া ট্রেনে মহিলা যাত্রীদের নিরাপত্তায় (Women passenger safety) বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে বলে রেল রেলের। মহিলা যাত্রী বিপদে পড়লেই যাতে চালক টের পান, তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে ট্রেনের মধ্যেই। একই সঙ্গে চুরি-ছিনতাই বা ইভটিজিংয়ের মতো যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতেও থাকছে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমানে সাড়া দেশেই যাতায়াতের সময় ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ কমাতে মাঝারি দূরত্বের প্যাসেঞ্জার ট্রেনগুলিকে মেমু-তে(মেন লাইন ইলেকট্রিক্যাল মাল্টিপল ইউনিট) পরিবর্তন কথা ভাবছিল ভারতীয় রেল। এবার তাই নতুন মাত্রায় বাস্তবায়িত হতে শুরু করেছে একাধিক শাখায়। নতুন বছরে এই মেমু ট্রেন ব্যারাকপুর-রানাঘাট-লালগোলার সেকশনে(Barrackpore-Ranaghat-Lalgola section) চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে পূর্ব রেল। আপাতত দুটি ট্রেন চলবে বলে জানা যাচ্ছে। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যে একাধিক ব্যবস্থা রয়েছে এই ট্রেন সেটে। কোচের মধ্যে, গদিওয়ালা সিট, বায়ো টয়লেট, সুরক্ষার জন্য প্রতি কোচে সিসিটিভি। একইসঙ্গে ট্রেনটি চলাচলের সময়, দুর্ঘটনার কোনও আশঙ্কা থাকলেই ট্রেন থেমে যাবে স্বয়ংক্রিয় ভাবে। অন্যদিকে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় অ্যালার্ম চেন ও এমার্জেন্সি বাটনও থাকছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে চালকের কোচে রয়েছে ডেটা রেকর্ডার বক্স। রয়েছে সিসিটিভি মনিটর। এখানে প্রতি সেকেন্ডে সমস্ত তথ্য রেকর্ডিং হবে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন-বরফে ঢাকা পড়ল টাইগার হিল, গ্যাংটকের পারাপতন ভাঙল সাড়ে ৩ দশকের রেকর্ড
রেল সূত্রে খবর, সর্বোচ্চ ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিবেগে ছুটবে এই ট্রেন। এদিকে এই ট্রেনের প্রত্যেক রেকে মেট্রোর মতো রিজেনারেটিভ ব্রেকিং সিস্টেম থাকায় বছরে এক একটি রেকের ইলেকট্রিক খরচ বাবদ ৭০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্যদিকে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যও আগের থেকে অনেকটাই বাড়বে। ট্রেনটি দেখতে একেবারে কলকাতা মেট্রোর রেকের মতো। তিরিশ শতাংশ যাত্রী বেশি চড়তে পারবেন, যা বর্তমান খুবই প্রয়োজনীয়। তবে বেশি যাত্রী উঠলেও বসার ও দাঁড়ানোর জায়গা বেশ প্রশস্ত। এদিকে বর্তমানে পরীক্ষামূলক ভাবে শিয়ালদহ থাকায় এই ট্রেন চালু হলেও আগামী অন্যান্য শাখাতেও এই ট্রেনের দেখা মিলবে বলে জানা যাচ্ছে।