করোনা পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্যবাসীর কাছে সরকারের যাবতীয় পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য রাজ্যজুড়ে চালু হয়েছিল দুয়ারে সরকার প্রকল্প। এই প্রকল্প চালু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। সেই প্রকল্প ব্যাপক সাফল্যের মুখ দেখেছে।
গোটা বাংলায় রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছিল 'দুয়ারে সরকার' (Duare Sarkar) প্রকল্প। বিভিন্ন ক্যাম্পে (Camp) ভিড় জমিয়েছিলেন বহু মানুষ। আর এই সাফল্যের পর নতুন বছরে (New Year) আবার এই প্রকল্প শুরু করা হবে। আজ হাওড়ার (Howrah) প্রশাসনিক বৈঠকে (Administrative Meeting) একথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এমনকী, নতুন বছরে কবে থেকে এই প্রকল্প শুরু করা হবে তার দিনও ঠিক করা হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ২ থেকে ১০ জানুয়ারি এবং ২০ থেকে ৩১ জানুয়ারি, ২০২২ সালের প্রথম মাসে এই দু’দফায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প করা হবে। তখনও একইভাবে সাড়া পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী রাজ্য সরকার (State Government)।
করোনা পরিস্থিতির (Corona Situation) মধ্যে রাজ্যবাসীর কাছে সরকারের যাবতীয় পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য রাজ্যজুড়ে চালু হয়েছিল দুয়ারে সরকার প্রকল্প। এই প্রকল্প চালু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। সেই প্রকল্প ব্যাপক সাফল্যের মুখ দেখেছে। কোনওরকম জটিলতা ছাড়া, অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যে বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে প্রয়োজনীয় সরকারি পরিষেবা পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি, এতদিন ধরে যাঁদের বিভিন্ন সার্টিফিকেট আটকে ছিল তাও ওই প্রকল্পের মাধ্যমে পেয়েছেন তাঁরা। ফলে রাজ্যজুড়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিল এই প্রকল্প। এমনকী, এই প্রকল্পকে সফল করে তুলতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন বিরোধীরাও। বহু ক্যাম্পেই সাধারণ মানুষের ফর্ম ফিলআপ করে দিতে দেখা গিয়েছিল বিজেপি (BJP) ও সিপিএম (CPM) কর্মীদের। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৮০ শতাংশ কাজই শেষ হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন মমতা। আর যতটুকু বাকি রয়েছে তাও করে দিতে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার। সেই কারণেই নতুন বছর ফের এই প্রকল্প নিয়ে আসা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- দেউচা পাঁচামিতে বিজেপিকে কালো পতাকা, রাজুর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ স্থানীয়দের
২০২২ সালের জানুয়ারিতে দু'দফায় হবে এই শিবির। ২ থেকে ১০ জানুয়ারি এবং ২০ থেকে ৩১ জানুয়ারি হবে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প। বৃহস্পতিবার হাওড়ায় প্রশাসনিক বৈঠক থেকে সব সরকারি আধিকারিকদের সামনেই একথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এই শিবিরের জন্য সবাইকে প্রস্তুতি নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর পরামর্শ, রাজ্য সরকারের ছোট প্রকল্পগুলিকে জনপ্রিয় প্রকল্পের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হোক। তিনি বলেন, "বিভিন্ন ছোটখাটো সরকারি প্রকল্পের জন্য টাকা বরাদ্দ হলেও খরচ করা যাচ্ছে না। তাই তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলি বড় প্রকল্পগুলির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হোক। তাতে যেমন টাকাও খরচ হবে, তেমন কাজও হবে।"
আরও পড়ুন- টাকা না পেয়ে সদ্যোজাতকে মায়ের কোল থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ, মৃত্যু
স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড (Students Credit Card) নিয়েও নতুন ভাবনা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। চলতি বছরের ২০ নভেম্বর ‘স্টুডেন্টস মেলা’-র আয়োজন করা হবে। ওইদিন প্রায় ১০ হাজার পড়ুয়াকে ঋণদান করা হবে সরকারের তরফে। প্রতি ২০ দিন অন্তর এ ধরনের মেলা করা যায় কি না,তা নিয়ে আধিকারিকদের ভাবতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া ১ জানুয়ারি স্টুডেন্ট ডে বা ছাত্র দিবস হিসেবে পালন করা হবে বলে গতকাল উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে ঘোষণা করেছিলেন তিনি। আর ঠিক তারপরই দিনই আবার গোটা রাজ্য শুরু হবে দুয়ারে সরকার প্রকল্প।
আরও পড়ুন- শীতের মুখে পুরুলিয়ায় ডায়রিয়ার প্রকোপ, আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু নাবালকের