৬ দিন ধরে অন্ধকার গুদামে আটক, ছিল প্রাণনাশের আশঙ্কাও। সেখান থেকে গুগল ঘেঁটে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের সাহায্যে কীভাবে উদ্ধার পেলেন পঞ্চাশোর্ধ ব্যবসায়ী, সেই ঘটনা তাক লাগিয়ে দিচ্ছে গোটা শহরকে।
নয়াদিল্লি থেকে ব্যবসার কাজে কলকাতায় এসেছিলেন ৫৫ বছর বয়সী অশোক থাপা। শহরে এসে বাদানুবাদের পরেই তাঁকে করা হল অপহরণ। ৬ দিন ধরে গুম করে রাখা হল কলকাতার ভেতরেই। শহরটি তিনি একেবারেই ভালোভাবে চেনেন না। তবুও বাঁচতে পারলেন উপস্থিত বুদ্ধির জোরে। কীভাবে?
জানা গেছে, দক্ষিণ দিল্লির বাসিন্দা ওই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়েছিল কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স এলাকা থেকে। অপহরণকারীরা প্রায় ৬ দিন ধরে মাদুরদহে আটকে রাখে তাঁকে। নিরুপায় অবস্থাতেই অপহরণকারীদের চোখে ফাঁকি দিয়ে সোজা ফোন করে ফেললেন কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে। ফোন করে উদ্ধারের অনুরোধ জানালেন ওই ব্যবসায়ী। সঙ্গে সঙ্গে অত্যন্ত তৎপর হয়ে ওঠে গোটা পুলিশ বিভাগ। তাঁর ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করা হয়। খুঁজতে খুঁজতে তাঁকে উদ্ধার করে ফেলল আনন্দপুর থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ৩ জন অপহরণকারীকে।
সূত্রের খবর, নয়াদিল্লির পাইপ ব্যবসায়ী অশোক থাপা কয়েকদিন আগে এসেছিলেন কলকাতায়। এখানকার ব্যবসায়ী কুন্তল গুছাইতের সঙ্গে তাঁর ব্যবসায়িক কাজ ছিল। কুন্তলের সঙ্গে তাঁর সমস্যা তৈরি হয়েছিল। এরপর আচমকাই ইডেন গার্ডেন্স এলাকা থেকে অশোককে অপহরণ করা হয়। প্রথমে তাঁকে একটি হোটেলে রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে মাদুরদহের একটি পরিত্যক্ত গুদামে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ব্যবসায়ী অশোক থাপাকে অপহরণ করেছিল মোট ৪ জন। প্রথমে হোটেল এবং পরে আনন্দপুর থানা এলাকার মাদুরদহের একটি স্টোর রুমে আটকে রাখা হয় তাঁকে। শনিবার কোনওরকমে গুগল ঘেঁটে কলকাতা পুলিশের কমিশনারের নম্বর জোগাড় করে উদ্ধারের অনুরোধ জানান ওই ব্যবসায়ী। ফোন পেয়ে লালবাজারের পক্ষ থেকে আনন্দপুর থানায় বিষয়টি জানানো হয়। অপহৃতের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে তাঁর কাছে পৌঁছে যায় পুলিশ। ঘটনার পর ব্যবসায়ী কুন্তল গুছাইতের পাশাপাশি তার ৩ সহযোগী আলি, শাহনাজ এবং শম্ভুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়। ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলেও এখনও পর্যন্ত ৩ জনকেই গ্রেফতার করতে পেরেছে পুলিশ। যার নির্দেশে অপহরণের ঘটনা ঘটেছিল, সেই মূল পাণ্ডা এখনও পলাতক।
আরও পড়ুন-
বাংলা জুড়ে আবার ভোটের দামামা, কবে হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন?
কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসুস্থতার কারণেই কি বন্ধ হল ‘আয় তবে সহচরী’?
‘সন্ধ্যা রায়, মুনমুন সেন, মিমি, নুসরত, সায়ন্তিকা, সায়নী, জুনরা লুটেপুটে খাচ্ছে’, শালবনির শ্রীকান্তর মন্তব্যে