দীর্ঘ লকডাউনে রোজগার হারিয়ে প্রেসিডেন্সির সামনে বসা প্রায় সব হকারই নিজের বাড়ি। দুর্দিনে তাঁদেরই পাশেই দাড়াল প্রেসিডেন্সি পড়ুয়ারা। টাকা পাঠালো সুদূর প্রিয় 'বাদামকাকু', 'চুরমুরকাকু','চা-কাকু'-দের দেশের বাড়ি।
সারা বছরই প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আশপাশে ঘোরেন ওঁরা। কেউ বিক্রি করেন চুরমুর, কেউ লাল চা, কেউ বাদাম, কেউ বা ঝালমুড়ি। অনেক পড়ুয়াই ওঁদের ডাকেন 'বাদামকাকু', 'চুরমুরকাকু' বা 'চা-কাকু' বলেই নিজের করে নেয়। চা-চুরমুরের স্বাদের সমুদ্রে ভাসতে ভাসতেই প্রিয় হকারকাকুদের পরিবারের সব কথাই তাদের জানা। এদিকে করোনা রুখতে রাজ্য়ে দীর্ঘ লকডাউনে রোজগার হারিয়ে প্রায় সব হকারই এখন নিজের দেশের বাড়িতে। আর এমন সময়ই টাকা পাঠায়ে তাদের কে সাহায্য় করল প্রেসিডেন্সি পড়ুয়ারা। পড়ুয়াড়া জানালেন, ছাত্র ইউনিয়নের তরফে 'হকারকাকু'দের অ্যাকাউন্টে আপাতত কিছু টাকা পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনে আবার পাঠানো হবে।
'চুরমুরকাকু' দিলীপ সাহার বাড়ি বিহারের জামুইয়ে। 'চা-কাকু', অর্থাৎ আনন্দ শীলের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে। এরা প্রত্য়েকেই অভিভূত দুর্দিনে প্রেসিডেন্সি পড়ুয়াদের থেকে সাহায্য় পেয়ে। আনন্দ শীল জানিয়েছেন, বাড়িতে ছেলে-মেয়ে মিলে পাঁচ জনের সংসার। রেশন থেকে তাঁরা ১০ কেজি চাল পেয়েছেন সারা মাসের জন্য। পাশাপাশি প্রেসিডেন্সির পড়ুয়াদের পাঠানো টাকায় এই মাসের সংসার খরচ অনেকটাই সামলে ওঠা যাবে। তাই লকডাউনে 'হকারকাকু'দের অনেকটাই বেঁচে থাকার পথ করে দিল প্রেসিডেন্সি পড়ুয়ারা।
করোনা পজিটিভ প্রসূতির সুস্থ সন্তান, খুশির হাওয়া ফুলেশ্বরের হাসপাতালে
করোনার কোপ এবার বাইপাসের ধারের বস্তিতে, ১৫০০০ মানুষকে পাঠানো হল কোয়ারেনন্টিনে
ভেন্টিলেশনে করোনা আক্রান্ত রাজ্য়ের স্বাস্থ্য কর্তা ও সার্জন, উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর
'হটস্পট' এলাকা থেকে আসায় প্রসুতিকে ফিরিয়ে দিল এনআরএস, চরম যন্ত্রনা নিয়ে ঘরেই প্রসব-মৃত সদ্যোজাত