এপ্রিলেই নিজের জেলার স্কুলে বদলি শিক্ষকরা, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শুরু প্রক্রিয়া

  • ১ এপ্রিল থেকেই শিক্ষকরা নিজেদের জেলায় যাবেন 
  •  মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দ্রুত কাজ শুরু করেছে স্কুলশিক্ষা দপ্তর  
  • বুধবার শিক্ষামন্ত্রী বিধানসভায় এই খবর জানিয়েছেন 
  • ইতিমধ্য়েই ৩০ থেকে ৪০ হাজার আবেদনপত্র এসেছে 

 

Ritam Talukder | Published : Mar 12, 2020 5:03 AM IST


 এপ্রিল থেকেই নিজের জেলার স্কুলে পড়াবেন শিক্ষকরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দ্রুত এই কাজ শুরু করেছে স্কুলশিক্ষা দপ্তর। শুরুতে প্রাথমিকস্তরে বদলি হবে। তারপরে উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরেও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিজের জেলায় আনবে রাজ্য় সরকার। বুধবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিধানসভায় নিজের ঘরে এই খবর জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন, তৃণমূল এবার রোদ্দুরের পিছনে, শ্রীরামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের

গতকাল বুধবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন যে, নিজের জেলায় কাজ করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষকদের অনুরোধ প্রথম থেকেই ছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন। যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে তার উপর ভিত্তি করেই শিক্ষক ছাত্র অনুপাত ঠিক রেখে শিক্ষকদের নিজের জেলায় বদলি দেওয়া হবে। ১ এপ্রিল থেকেই শিক্ষকরা নিজেদের জেলার স্কুলে গিয়ে পড়াতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ গ্রহণ করেছি। ইতিমধ্য়েই ৩০ থেকে ৪০ হাজার আবেদনপত্র এসেছে।

আরও পড়ুন, স্টেট ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের জন্য সুখবর, ন্যূনতম টাকা না রাখলেও হচ্ছে না জরিমানা

উল্লেখ্য়, সরস্বতী পুজোর দোড়গোড়ায় স্কুল শিক্ষকদের জন্য নতুন নিয়ম ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি জানিয়েছেন যে, সরকারি স্কুল শিক্ষকদের আর নিজের জেলার বাইরে যেতে হবে না ৷ এখন থেকে এসএসসি পাশ করা শিক্ষকরা নিজের জেলাতেই পোস্টিং পাবেন ৷ তাই  দিনের পর দিন পরিবারের থেকে দূরে থাকতে আর হবে না,  নিজেদের জেলাতেই তারা এবার খুশি মনে শিক্ষকতা করতে পারবেন। ট্যুইটারে রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, সরস্বতী পুজো হল শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সঠিক সময় ৷ তাই সরকার এই নতুন নিয়ম চালু করে রাজ্যের শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করছে৷ শিক্ষকরা দেশ গড়েন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেন৷ কিন্তু চাকরির জন্য তাদরেই দিনের পর দিন পরিবারের থেকে দূরে থাকতে হত৷ এতে মানসিকভাবে তারা বা তাদের পরিবার খুশি হতে পারত না৷ যাদের হাতে দেশের ভবিষ্যৎ তৈরি চাবিকাঠি, তারাই যদি মানসিক কষ্টে থাকেন, তাহলে কীভাবে নিজেদের কাজে তারা মন দেবেন। তাই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার৷

আরও পড়ুন, পুলিশ ধরার আগেই 'চিরঘুমে' রোদ্দুর, ফেসবুকে ঘুরে বেড়াচ্ছে 'রেস্ট ইন পিস'

Share this article
click me!