আমাদের জন্যই লঘু হচ্ছে হাইকোর্টের মর্যাদা, নারদ কাণ্ডে বিস্ফোরক বিচারপতি অরিন্দম সিনহা

  • সিবিআইয়ের আবেদনের বিরোধিতা হাইকোর্টের বিচারপতির
  • নারদা মামলায় নয়া মোড়
  • মামলা অন্যত্র সরানোরআবেদনের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন
  • প্রশ্ন তুলে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি অরিন্দম সিনহার 

Asianet News Bangla | Published : May 28, 2021 7:30 AM IST / Updated: May 28 2021, 01:14 PM IST

নারদা মামলায় নয়া মোড়। মামলা অন্যত্র সরানোর সিবিআইয়ের আবেদনের পদ্ধতি ও যৌক্তিকতা নিয়ে এবার ক্ষোভ প্রকাশ খোদ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালকে একটি চিঠি দিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম সিনহা জানান যে পদ্ধতিতে মামলা সরানোর আবেদন করেছে সিবিআই, তাতে তাঁর আপত্তি রয়েছে। 

ফৌজদারী আইনের ৪০৭ ধারা মোতাবেক এই হস্তান্তর আবেদনটি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে। গত ১৭ই মে সিবিআই একটি ইমেল পাঠায়, যেখানে অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল ওয়াই জে দস্তুরের সম্মতির উল্লেখ ছিল। এই উল্লেখে ভিত্তিতেই আবেদনটি ডিভিশন বেঞ্চে গৃহীত হয়।  

এই পদ্ধতিতেই আপত্তি জানিয়েছেন বিচারপতি অরিন্দম সিনহা। তিনি বলেন হাইকোর্টের অ্যাপিল সাইড রুলস অনুযায়ী কোনও একজন বিচারপতি একা এই ধরণের আবেদনের শুনানি করবেন। তবুও প্রথম ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলাটি নিজের দায়িত্বে নেয় রিট পিটিশন হিসেবে বিষয়টিকে বিবেচনা করে। কিন্তু তাহলেও সংবিধানের ২২৮ নম্বর অনুচ্ছেদের আওতাভুক্ত হিসেবে বিষয়টি একক বিচারপতির কাছে যাওয়া উচিত ছিল। 

 

সিবিআইয়ের পাঠানো আবেদনকে তাই কখনই রিট পিটিশন হিসেবে গণ্য করা উচিত নয়। কারণ আইনের ব্যাখ্যার বিষয়ে তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপিত হয়নি এক্ষেত্রে। এদিকে, নারদকাণ্ড কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে শেষ অবধি সুপ্রিম কোর্টে আগাম আবেদন করেও কার্যত লাভ হয়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। 

নারদ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই-র আর্জি খারিজ হয়েছে। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলেছে।  ৫ বিচারপতির বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, 'শুনানি চলবেই। চাইলে কলকাতা হাইকোর্টই নারদ মামলার নিষ্পত্তি করতে পারে।' উল্লেখ্য, ১৭ মে সোমবার নারদকাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গের ৪ জন প্রাক্তন এবং বর্তমান মন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। এদিকে মামলা চলাকালীন যশ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ২৬ এবং ২৭ মে যাবতীয় কাজকর্ম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ বদল হয়েছে শেষ অবধি বুধবার রাতে। 

Share this article
click me!