আদালতের নির্দেশের পরই সিবিআই-এর একটি দল পৌঁছে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদরের অফিসে। শুরু হয় তল্লাশি। সূত্রের খবর টেট নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই পর্ষদের অফিসে হানা দেয় সিবিআই। প্রয়োজনীয় নথিও সংগ্রহ করবে তারা।
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত থাকবে সিবিআই-এর হাতে। কলকাতা আদালত এই রায় দিতেই সক্রিয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এদিন আদালতের নির্দেশের পরই সিবিআই-এর একটি দল পৌঁছে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদরের অফিসে। শুরু হয় তল্লাশি। সূত্রের খবর টেট নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই পর্ষদের অফিসে হানা দেয় সিবিআই। প্রয়োজনীয় নথিও সংগ্রহ করবে তারা।
শুক্রবার সকালেই কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ টেট সংক্রান্ত সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রেখেছে। যার অর্থ প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তও করবে সিবিআই। এই ব্যাপারে রাজ্য সরকার বা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আপত্তি অগ্রাহ্য করছে আদালত। পাল্টা আদালত জানিয়েছেন আদালতের নজরদারীতে যেভাবে মামলা চলছিল সেভাবেই এগোবে। এই রায়ের পরই বিকেল ৪টে নাগাদ সল্টলেকের আচার্য সদনে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে পৌঁছে যায় সিবিআই-এর একটি দল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, চার জনের একটি দল পর্ষদের অফিসে আসে। তদন্তকারীরা কম্পিউটারের পুরনো হার্ডডিস্কের ফাইল সংগ্রহ করেছে। অর্থাৎ আদালতের নির্দেশে সিবিআই নিয়োগ সংক্রান্ত নথিপত্র সংগ্রহ করতে শুরু করেছে।
এপ্রসঙ্গে উল্লেখ্য টেট নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য় সরকার তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু সেখানেই সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় বহালল থাকে। যার অর্থ কোর্টের নির্দেশে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির মতই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তও আদালতের তত্ত্বাবধানে চলবে। কার্যত এই রায় আবারও অস্বস্তি বাড়াল রাজ্য সরকারের।
অন্যদিকে টেট মামলায় অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যকে নিজের এবং পরিবারের সম্পত্তির হিসেব দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশে অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে মানিক বলেন, ‘‘সম্পত্তির হিসাব তো ভোটের মনোনয়ন পত্রেই দেওয়া আছে। তাহলে আবার জানতে চাওয়া হচ্ছে কেন?’’ এই দ্বন্দ্বে কলকাতা হাই কোর্টের একক বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন মানিক। আদালত তাঁর কাছে সম্পত্তির হিসাব চাওয়ায় তিনি যে বেশ ক্ষুব্ধ হয়েছেন, তা আরও এক বার বোঝা গিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলা চলাকালীন মানিকের অন্য আরেকটি বক্তব্যে। আইনজীবীর মাধ্যমে বিধায়ক আদালতে বলেছিলেন, ‘‘ভাগ্য ভালো যে, ওঁরা আমার মৃত শ্বশুরের সম্পত্তির হিসেব চাননি।’’
আরও পড়ুনঃ'মোদী স্বীকার করবেনতো আগের সরকারের কৃতিত্ব' বিক্রান্ত নিয়ে কৃষ্ণ মেমনের কথা বললেন জয়রাম রমেশ
আরও পড়ুনঃসিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল, বাতিল চাকরি ফেরানোর আবেদন খারিজ, প্রাথমিকে দুর্নীতিতে চলবে সিবিআই তদন্ত
আরও পড়ুনঃকোচিতে বিক্রান্তের কমিশন নরেন্দ্র মোদীর হাতে, দেখুন নৌবাহিনীর অনুষ্ঠানের সেরা ছবিগুলি