'পশ্চিমবঙ্গে টাকা না দিলে চাকরি পাওয়া যায় না', TET নিয়ে চড়া সুরে মন্তব্য অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আবারও চড়া সুরে মন্তব্য করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি বাড়তি নম্বর বিতর্কের জেরে পর্যদের কাছ থেকে একটি তালিকাও চেয়েছেন তিনি।

Saborni Mitra | Published : Aug 16, 2022 1:43 PM IST

স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আবারও চড়া সুরে মন্তব্য করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি বাড়তি নম্বর বিতর্কের জেরে পর্যদের কাছ থেকে একটি তালিকাও চেয়েছেন তিনি। প্রাথমিকে চাকরি পাওয়া এক ব্যক্তির নিয়োগ বাতিল হয়েছিল মাত্র চার মাসের মধ্যেই। সেই চাকরি আবারও ওই ব্যক্তিকে ফিরিয়ে দিল অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।  কিন্তু এখানেই শেষ নয়- এই মামলার শুনানিতেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গ এমন একটা রাজ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে যেখানে টাকা না দিলে চাকরি পাওয়া যায় না।' এখানেই শেষ নয় তিনি প্রথামিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের নাম তুলেও কটাক্ষ করেন বলে আদালত সূত্রের খবর। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন 'মানিক ভট্টাচার্যকে টাকা দেননি তাই হয়তো মামলাকারীর চাকরি বাতিল হয়ে গেছে।'

মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা মিরাজ শেখ ২০২১ সালে ডিসেম্বরে প্রাথমিক শিক্ষক পদে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু মাত্র চার মাস পরে সার্ভিস বুক তৈরির সময় মিরাজ শেখের চাকরি বাতিল করে দিয়েছিল মুর্শিদাবাদ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। মিরাজ প্রথমে মির্শিদাবাদ ডিপিএসপির দ্বারস্থ হয়। কিন্তু কোনও লাভ না হওয়ায় তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়। প্রাথমিক বোর্ডের গাইডলাইন অনুযায়ী, সংরক্ষিত পদের জন্য স্নাতক স্তরে অনার্সে ৪৫ শতাংশের কম নম্বর থাকলে চাকরি করা যায় না। সাধারণ পদের জন্য স্নাতক স্তরে অনার্সে ৫০ শতাংশ নম্বর প্রয়োজন হয়। সেখানে মিরাজের স্নাতক স্তরে প্রাপ্ত নম্বর ৪৬ শতাংশ ছিল। তাই চাকরি যাওয়া বেআইনি বলে দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হন। 

আদালতে মঙ্গলবার এনসিটিই জানিয়েছেন, সাধারণ পরীক্ষার্থীদের জন্য কেবল স্নাতকে ৫০ শতাংশ নম্বর এবং সংরক্ষিত পরীক্ষার্থীদের জন্য ৪৫ শতাংশ নম্বর প্রয়োজন হয় প্রাথমিকে চাকরির যোগ্যতা অর্জনের ক্ষেত্রে। এদিকে মামলাকারী মিরাজ শেখের স্নাতক স্তরে প্রাপ্ত নম্বর ৪৬ শতাংশ। কিন্তু এরপরও তাঁর চাকরি বাতিল করা হয়। এরপরই মিরাজ শেখকে দ্রুত বাতিল হওয়া চাকরিতে পুনর্বহাল করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সিদ্ধান্তের পর চাকরি হারিয়েছিলেন মিরাজ। তবে প্রায় ৬ মাস পর আবার সেই চাকরিতে মিরাজকে পুনর্বহাল করার নির্দেশ দিল আদালত।

অন্যদিকে টেট পরীক্ষার্থীদের বাড়তি নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হয়নি বলেও মামলা হয়েছিল কলকাতা আদালতে। আদালত জানতে চেয়েছিল কারা এই নম্বর পাওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। এই ব্যাপারে পর্যদের কাছে কাট অফ মার্কস ও সংরক্ষণ তালিকাও চেয়ে পাঠিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৩১ অগাস্ট।  

অনেকটাই 'চাঙ্গা' অনুব্রত মণ্ডল, স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর নিজাম প্যালেসে ফিরলেন তৃণমূল নেতা
'খেলা হবে' শাড়ি আর কালো সানগ্লাসে ফুটবল মাঠে মহুয়া, নেটিজেনদের মন কাড়ল তৃণমূল নেত্রীর ছবি
কাল থেকে আরও দামি হচ্ছে দুধ, মাদার ডেয়ারি ও আমুল দুধের দাম বাড়ছে

Share this article
click me!