ক্রমেই দম বন্ধ হয়ে আসছে শহরবাসীর, বায়ু দূষণে বাড়ছে হাসপাতালে রোগীর সংখ্য়া

  • সম্প্রতি শহরের প্রাইভেট হাসপাতালে ২০ শতাংশ রোগী বেড়েছে 
  •  এই ২০ শতাংশ  রোগীরা প্রধানত ফুসফুসজনিত রোগে আক্রান্ত
  •  ফুসফুসজনিত রোগের অন্য়তম কারন, শহরের বায়ুদূষন
  • গত তিন বছর ধরে এর পরিমান দ্বিগুনেরও বেশি বেড়ে গিয়েছে
     

Ritam Talukder | Published : Nov 16, 2019 6:46 AM IST

বাতাসে দূষণের পরিমান ক্রমেই বেড়ে চলেছে। কল-কারখানা, গাড়ির ধোয়া, গ্রীন হাউজ গ্য়াস, বাজি পোড়ানোর ধোঁয়া পরিমান বেড়ে যাওয়ার ফলে শহরের অধিকাংশ প্রাইভেট হাসপাতালগুলিতে শ্বাসকষ্ট  জনিত রোগীর সংখ্য়া বাড়ছে। 

আরও পড়ুন, ইস্ট ওয়েস্টের মেশিন সরাবে মেট্রো, আতঙ্ক শুরু বউবাজারে

সম্প্রতি শহরের ৩টি প্রাইভেট হাসপাতালে ২০ শতাংশ পরিমানে রোগীর সংখ্য়া বেড়েছে।  এই ২০ শতাংশ  রোগীরা প্রধানত ফুসফুসজনিত রোগে আক্রান্ত। আর এই মুহূর্তে সিওপিডি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিক পালমোনারি ডিসর্ডার, ব্রঙ্কাইটিস, শুকনো কাশি এবং অ্য়াজমা রোগের অন্য়তম কারন হল শহরের বায়ুদূষন। গত তিন বছর ধরে এর পরিমান দ্বিগুনেরও বেশি বেড়ে গিয়েছে যে, ডাক্তার ও বিশেষজ্ঞরাও এব্য়াপারে যথেষ্ট চিন্তিত। 

আরও পড়ুন, সবজির চড়া দাম, মমতার হুঁশিয়ারির পরই কলকাতায় শুরু অভিযান

২০১৬ সাল থেকে শহরের হাসপাতাল গুলিতে দিওয়ালির পরেই সবচেয়ে বেশি পরিমানে ফুসফুসজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্য়া বেড়েছে। ফর্টিস হাসপাতালের পালমোলজিস্ট ও ক্রিটিক্য়াল কেয়ার এক্সপার্ট ডাক্টার রাজা ধর জানালেন, বেশিরভাগ রোগীরাই শুকনো কাশি ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্য়া নিয়ে ভর্তি হয়েছে। অ্য়াপেলো হাসপাতালের চিকিৎসক সুস্মিতা রায় চৌধুরি জানালেন, শহরে বায়ু দূষন থেকেই মূলত এই সমস্য়া তৈরি হয়েছে। বেশিরভাগ মানুষই তাই ফুসফুসের বিভিন্ন রোগে যেমন বুক বন্ধ, সিওপিডি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিক পালমোনারি ডিসর্ডার এবং শুকনো কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে। সিএমআরআই হাসপাতালের পালমোলজিস্ট  ডাক্টার রঞ্জন দাস জানালেন, যারা ধূমপান করেন তাদের তো শারীরিক ক্ষতি হচ্ছেই সঙ্গে বায়ু দূষনে সাধারন মানুষও আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। 
 

Share this article
click me!