হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভবনা। তার সঙ্গে বেশ কিছু জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ দমকা হাওয়া বইবে।দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির প্রভাব ফের বাড়বে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভবনা। তার সঙ্গে বেশ কিছু জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ দমকা হাওয়া বইবে।দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির প্রভাব ফের বাড়বে। মূলত গত কয়েক দিন কোথাও বিক্ষিপ্ত কোথাও ভারী বৃষ্টি হয়ে ক্ষণিকের জন্য় তাপমাত্রা নামলেও ফের দাবদাহ ছিল। কিন্তু এবার সুখবর দিয়েছে হাওয়া অফিস।আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ে কিছু পরেই বর্ষা প্রবেশ করছে। স্বাভাবিকভাবে এই রাজ্যে বর্ষা অনেকটা আগেই বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
ইতিমধ্য়েই কেরলে বর্ষা ঢুকে গিয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সময়ের ৩ দিন আগেই কেরলে ঢুকে পড়ে বর্ষা। দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু কেরলে রবিবার প্রবেশ করেছে।হাওয়া অফিস যে আগেই জানান দিয়েছে, বাংলাতেও বর্ষা এল বলে। আবহবিদরা যা বলেছেন, যা পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তাতে বর্ষা আসতে খুব বেশি দেরি নেই। কেরলের বর্ষা বাংলাকেও প্রভাবিত করবে। যদিও তার আগেই প্রকৃতি জানান দিচ্ছে সে কথা। শুধু প্রহর গোনা শুরু।স্বাভাবিকভাবে এই রাজ্যে বর্ষা ঢোকার অফিসিয়াল তারিখ হল ৬ জুন। তবে ৭-৮ জুনের মধ্যে উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢুকে যায়। এবার কিন্তু তার অনেকটা আগেই বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
আরও পড়ুন, কেকে-কে চোখের জলে চিরবিদায় জানাল কলকাতা, রাতের আগেই মুম্বইয়ের বাড়িতে কিংবদন্তি
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভবনা। তার সঙ্গে বেশ কিছু জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ দমকা হাওয়া বইবে।হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির প্রভাব ফের বাড়বে। হাওয়ার গতিবেগ ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার থাকবে। স্বাভাবিকভাবেই বাড়ি থেকে বেরোনো বা অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছে হাওয়া অফিস। অপরদিকে, আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ৩১ তারিখ থেকে ২ জুন অবধি দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির প্রভাব একটু কমবে। তবে তাপমাত্রা কোনও উল্লেখ যোগ্য পরিবর্তন হবে না বলেই জানিয়েছে, হাওয়া অফিস।
আরও পড়ুন, 'রূপঙ্করদার কথায় আমি খুবই বিব্রত, কেকে-কে অকারণে ছোট করা ঠিক হয়নি', ক্ষুব্ধ ইমন
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ৪ থেকে ৫ দিন উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে হালকা-থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির প্রভাব একটু বেশিই থাকবে দার্জিলিং, কালিংপং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে পয়লা জুন থেকে বৃষ্টির প্রভাব বাড়বে অনেকটাই। তাই ফের আগের বারের দৃশ্য ফিরতে পারে। মূলত গত কয়েক দিন কোথাও বিক্ষিপ্ত কোথাও ভারী বৃষ্টি হয়ে ক্ষণিকের জন্য় তাপমাত্রা নামলেও ফের দাবদাহ ছিল। কিন্তু এবার সুখবর দিয়েছে হাওয়া অফিস।আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ে কিছু পরেই বর্ষা প্রবেশ করছে।পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে জুনের শেষে কিংবা জুলাইয়ের শুরুতে বর্ষা প্রবেশ করতে পারে। তবে এবিষয়ে হাওয়া অফিস কিছু জানায়নি। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২৯ তারিখ অবধি ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে বাংলায়।
যদিও দেশের একাধিক রাজ্যে এখনও পুরোপুরি স্বস্তি নেই । দেশের রাজধানী দিল্লি -সহ বেশ কিছু রাজ্য়ে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশের কিছু অংশে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা রয়েছে। যদিও আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে যে, মৌসুমি বায়ু আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ অতিক্রম করে বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে অনেকটা এগিয়ে এসেছে। রাজস্থান থেকে অসম পর্যন্ত একটি অক্ষ রেখা গিয়েছে। যেটি উত্তরপ্রদেশ , বিহার এবং উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে গিয়েছে। এরফলে দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শক্তিশালী দক্ষিণ-পশ্চিম হাওয়ার দাপটে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয়বাস্প ঢুকে বৃষ্টি বাড়াবে উত্তর-পূর্ব ভারতে।