বয়স ৩০-এ এলেই ত্বকে দেখা দেয় বলিরেখা, মুক্তি পেতে খান এই খাবারগুলো

আসলে বয়সের এই পর্যায়ে ত্বকে বলিরেখার সমস্যাও আসতে শুরু করে। এই সময় মানুষও প্রাণহীন ত্বকের মুখোমুখি হয়। তবে সঠিক জীবনযাপন এবং সৌন্দর্যের রুটিন মেনে চললে এই বয়সেও ত্বককে আগের মতোই উজ্জ্বল ও সুস্থ রাখা যায়।
 

Web Desk - ANB | Published : Jan 30, 2022 8:45 AM IST / Updated: Jan 30 2022, 02:17 PM IST

দূষণ ও বিশৃঙ্খল জীবনযাত্রার কারণে শুধু স্বাস্থ্য নয়, ত্বকও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ত্বকে ব্রণ, কালো ছোপ এবং চামড়া কুঁচকে যাওয়া এক সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিবেশের মধ্যে বয়স ত্রিশ পেরিয়ে গেলে ত্বকের বাড়তি যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি হয়ে পড়ে। আসলে বয়সের এই পর্যায়ে ত্বকে বলিরেখার সমস্যাও আসতে শুরু করে। এই সময় মানুষও প্রাণহীন ত্বকের মুখোমুখি হয়। তবে সঠিক জীবনযাপন এবং সৌন্দর্যের রুটিন মেনে চললে বেশি বয়সেও ত্বককে আগের মতোই উজ্জ্বল ও সুস্থ রাখা যায়।
যাই হোক, ব্যস্ত সময়সূচীর কারণে, বেশিরভাগ লোকেরা স্বাস্থ্যকর ডায়েট রুটিন অনুসরণ করতে পারে না এবং এর কারণে ত্বকে বলি এবং অন্যান্য সমস্যা তৈরি হতে শুরু করে। বলিরেখা একজনকে সময়ের আগেই বয়স্ক করে তোলে। আমরা আপনাকে এমন কিছু খাবারের কথা বলব, যেগুলো খেলে বলিরেখার সমস্যা থেকে অনেকাংশে মুক্তি পাওয়া যায়।

১) টমেটো- যদিও টমটো খেলে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে, তবে এটি ত্বকের যত্নেও সেরা হিসাবে বিবেচিত হয়। তবে বর্তমানের অনেকেরই ইউরিক অ্যাসিড থাকার কারণে টমেটো খাওয়া বন্ধ করে দেন। তাই আপনার টমেটো খাওয়া উচিৎ কি না তা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই সিদ্ধান্ত নিন। এতে উপস্থিত ভিটামিন সি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটি সেবন ছাড়াও ত্বকে লাগালে কোলাজেন তৈরি হয় এবং ত্বকে কোনও বলিরেখা থাকে না।
২) দই- আপনি যদি ৩০ বছর বয়সে মুখে বলিরেখা না চান, তাহলে দইকে আপনার ডায়েটের একটি অংশ করুন এবং প্রতিদিন এটি খান। এতে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া ত্বকের গঠন উন্নত করে এবং ত্বকে নমনীয়তা আনে।
৩) মাছ- ভিটামিন ই ত্বকের জন্য ভালো বলে মনে করা হয় এবং মাছ ভিটামিন ই সমৃদ্ধ। আপনি যদি নন-ভেজ খেতে পছন্দ করেন, তাহলে সপ্তাহে একবার মাছ খান। এটি খেলে বার্ধক্য বিজ্ঞানের মতো বলিরেখা ও ভ্রুকুটি মুখ থেকে দূরে থাকে।
৪) বাদাম- বাদামে উপস্থিত ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড অর্থাৎ শুকনো ফল শুধুমাত্র স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, ত্বকের জন্যও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পরিমাণে এগুলো খেলে ত্বকে বলিরেখা পড়ে না। এছাড়াও, এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য সুস্থ থাকে।
৫) অ্যাভোকাডো- এতে এমন অনেক গুণ রয়েছে, যা অ্যান্টি-এজিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। অ্যাভোকাডো খেলে ত্বকে নতুন কোষ তৈরি হয়। আপনি চাইলে ত্বকের জন্য অ্যাভোকাডোর মাস্কও তৈরি করতে পারেন।

Share this article
click me!