বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সরব ব্যাংক কর্মীদের সংগঠনগুলি। গত জানুয়ারিতে 'আইবিএ'-র সঙ্গে ট্রেড ইউনিয়নগুলির আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার ফলে ৩১ জানুয়ারি এবং ১ ফেব্রুয়ারি ধর্মঘটের নেমেছিল মোট ৯ টি ইউনিয়ন। এর আগে মোদী সরকারের অর্থনৈতিক নীতিগুলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে, সারা দেশ জুড়ে ব্যাংকের পরিষেবা বন্ধ রাখার ডাক দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ান। সর্বভারতীয় সাধারণ ব্যাংক ইউনিয়ন এই ধর্মঘটকে সমর্থনও করেছিল। শনিবার অল ইন্ডিয়া ব্য়াঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন এবং ব্য়াঙ্ক এমপ্লয়িজ ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া-র তরফে জানানো হয়েছে যে, বেতন বৃদ্ধি নিয়ে 'আইবিএ'-র সঙ্গে ট্রেড ইউনিয়নগুলির নতুন করে আলোচনা শুরু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- আর ৬দিন কাজ নয়, সপ্তাহে ২দিন ছুটি ঘোষণা সরকারের
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই আলোচনায় সমাধান না এলে মার্চ মাসে পরপর পাঁচ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক। শুধু ব্যাঙ্ক নয়, এই ৫দিন বন্ধ থাকতে পারে এটিএম পরিষেবাও। বেতন কাঠামোর পরিবর্তন এবং সংযুক্তি করণের প্রতিবাদে করা হবে এই ব্যাংক ধর্মঘট। এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ব্যাংক অফিশার্স অ্যাসোসিয়েশন। এর আগে সপ্তাহে ৫ দিন কাজ ও একাধিক দাবিতে ৩১ জানুয়ারি শুক্রবার এবং ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার ব্যাংক ধর্মঘট করেন ব্যাংক অফিশার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। ২ ফেব্রুয়ারি রবিবার হওয়ায় পর পর তিন দিন বন্ধ ছিল ব্যাঙ্ক পরিষেবা। যার ফলে হয়রানির শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে। এটিএমগুলিও ধর্মঘটের আওতাভুক্ত বলেই দাবি করে ব্যাংক অফিশার্স অ্যাসোসিয়েশনের। সেই কারনে বন্ধ ছিল এটিএম পরিষেবাও। ব্যাংক অফিশার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা জানিয়েছিলেন, তাঁদের দাবি পূরণ না হলে আগামী ১১ থেকে ১৩ মার্চ অবধি বিক্ষোভ করবে তাঁরা।
আরও পড়ুন- ভোট পর্ব মিটতেই হেঁশেলে কোপ, একধাক্কায় অনেকটা বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ১১ মার্চ বুধবার থেকে চালু হবে এই ব্যঙ্ক ধর্মঘট। চলবে ১৩ মার্চ শুক্রবার অবধি। পরের দুই দিন শনিবার ও রবিবার অবধি। সেই মত টানা ৫ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্কের পরিষেবা। ফলে বুধবার থেকে টানা রবিবার অবধি বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্কের পরিষেবা। জানা গিয়েছে, তাঁদের দাবি পূরণ না হলে ১ এপ্রিলও ধর্মঘটের সিন্ধান্ত নিয়েছেন তারা। ব্যাংক অফিশার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁদের সমস্যার কোনও সমাধান না মিললে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্কের পরিষেবা।