মহামারী আতঙ্ক দূরে রেখে, হাওড়ায় শুরু বাঙালি শ্রেষ্ঠ উৎসবের প্রস্তুতি

 

  • এই বছরের পুজাটা বাকি বছরের মত নয়
  • বহু ক্লাব কম বাজেটের মধ্যেই সারবে মায়ের আরাধণা
  • শারদ উৎসবে আয়োজনে উদ্যোগী হয়েছে বেলগাছিয়া ছাত্রদল মিলন ক্লাব
  • পুজোয় থাকবে না সেভাবে কোন জাঁকজমক
     

Asianet News Bangla | Published : Oct 7, 2020 10:32 AM IST

প্রতি বছর এই সময়টা পুজোর আনন্দে মেতে উঠার ধূম পড়ে যায়। তবে এই বছরটা যে বাকি সমস্ত বছরের মত হবে না তা আর আলাদা করে বলার বাকি রাখে না। করোনা মহামারির আতঙ্কে এই বছর একটু হলেও ভাটা পড়েছে সমস্ত পুজোর ক্লাবগুলির প্রস্তুতিতে। অনেক জায়গায় পুজোর টাকাতেই চলবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কাজ। নমোমো করে সারা হবে পুজো। আবার বহু ক্লাব কম বাজেটের মধ্যেই সারবে মায়ের আরাধণা। 

প্রতি বছরের মতো এবছরও শারদ উৎসবে আয়োজনে উদ্যোগী হয়েছে বেলগাছিয়া ছাত্রদল মিলন ক্লাব । তবে করোনা পরিস্থিতিতে এবছরের পুজোয় থাকবে না সেভাবে কোন জাঁকজমক। এই বছরে মণ্ডপ তৈরি হবে শিরডি সাই মন্দিরের আদলে । শিল্পীরা দিনরাত এক করে তৈরি করছেন সেই মণ্ডপ। তবে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুরো মণ্ডপে তৈরি করা হচ্ছে। মূল প্রবেশদ্বারে দৈর্ঘ্য করা হয়েছে অন্যান্য বারের থেকে দ্বিগুণ, থাকছে অটোমেটিক স্যানিটাইজার এর ব্যবস্থা। 

এছাড়াও ক্লাব সদস্যদের হাতে থাকবে থার্মাল গান। একসঙ্গে দর্শণার্থীদের প্রবেশেও বিধি নিষেধ মানা হবে সরকারি নিয়ম মেনেই। এই পুজোর প্রধান উদ্যোক্তা হাওড়া পুরসভা প্রাক্তন মেয়র পরিষদ ভাস্কর ভট্টাচার্য্য। এই বিষয়ে তিনি জানান শারদ উৎসব কে ঘিরে মন্ডপশিল্প, আলো সজ্জা,  প্রতিমাশিল্প, ফুলচাষ সহ বহু মানুষের জীবিকা নির্ভর করে । মহামারী পরিস্থিতিতে দীর্ঘ লকডাউন এর ফলে সমাজের সকল স্তরের মানুষের রুজি-রুটিতে টান পড়েছে। তার উপরে যদি এই সমস্ত মানুষ গুলো কাজ না পান তাহলে আরও বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে সমস্ত রকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই বছরের পুজোর আয়োজন করা হয়েছে।

Share this article
click me!